কিরণ রাওয়ের পরিচালনায় ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'ধোবি ঘাট', তারপর প্রায় ১৪ বছরের লম্বা বিরতির পর 'লাপাতা লেডিস'-এর হাত ধরে ফিরলেন পরিচালনায়। তাঁর ছবি 'লাপাতা লেডিস' ইতিমধ্যেই দর্শক মহলে যথেষ্ঠ প্রশংসিত হয়েছে, তবে তা ওটিটি রিলিজের পর। প্রথমে প্রেক্ষাগৃহে যখন এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল তখন দর্শক মহলে সেই ভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি, কিন্তু নেটফিক্স ইন্ডিয়াতে মুক্তি পাওয়ার পর এই সিনেমা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। কিন্তু এতে খুশি নন পরিচালক।
এই বিষয়ে যা বলেন কিরণ
ফায়ে ডি'সুজাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরণ জানান, 'লাপাতা লেডিস'-এর বক্স অফিসে যে পারফর্মেন্স তাতে তিনি একে ব্যর্থ বলেই মনে করেন। কিরন বলেন, 'ধোবি ঘাট ও লাপাতা লেডিস, এই দুটি ছবিই বক্স অফিসে খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি। বরং 'ধোবি ঘাট' সেই সময়ের নিরিখে যতটা বড় ব্যবসা করেছিল। ১০-১৫ বছর পরে 'লাপাতা লেডিস' সেরকম কিছুই করতে পারেনি, তার আয় মোটামুটি 'ধোবিঘাট'-এর সমান। তাই দুটি কাজ নিয়েই আমি ব্যর্থতার অনুভব করি।
আরও পড়ুন: সুস্মিতার দত্তক মেয়ে রেনে ‘ব্যাড নিউজ’-এ ইন্টার্ন, এ কেমন ব্যবহার পেয়েছেন সেটে!
বক্স অফিসের নিরিখে আমরা একটি ছবিও সফল নয়। আমরা ১০০ কোটি তো দূর ভারতীয় মুদ্রায় 30, 40 কিংবা 50 কোটিরও ব্যবসা করিনি। 'ধোবি ঘাট'-এর সময় কোনও বিকল্প মাধ্যম ছিল না, ওটিটি ছিল না। তাই দর্শক খুব একটা দেখার সুযোগও পায়নি। আমার মতে ওই ছবি ওই সময়ের জন্য ছিল না।'
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে আদরের অনন্তের জন্য বিয়েতে নিজে গয়নার ডিজাইন করলেন নীতা!
কিরণ 'ব্যর্থতা' সম্পর্কে যা মনে করেন
'আমার কাছে ব্যর্থতা আলাদা করে কিছু নয়, আমি প্রতিদিন নানা বিষয় নিয়ে ব্যর্থতা অনুভব করেছি। ১০ বছর আমি নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছি। আমি সত্যিই অনেকটা ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিনগুলো কাটিয়েছি। আমার প্রথম ছবির পর, আমি ভেবেছিলাম আমার দ্বিতীয় ছবি খুব শীঘ্রই আসবে। কিন্তু সেই 'শীঘ্রই' তাড়াতাড়ি আসেনি, প্রতিদিন কাজ করতে করতে সেই দিনটা আমাকে আনতে হয়েছে। এই ১০ বছরে প্রতিদিন আমি কিছু না কিছু নিয়ে সংগ্রাম করেছি, আর তাতে যে প্রতিদিন সফল হয়েছি তেমনটা নয়। আমি নিশ্চিত যে বেশিরভাগ সৃজনশীল ব্যক্তিদের প্রতিনিয়ত নানা ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হয়, তাঁরা চাইলেই খুব শীঘ্রই কিছু অর্জন করতে পারে না।'