কর্ণাটকের ভোটে বুথ ফেরত সমীক্ষার আভাসকে সত্যি করে ১৩ মে জনমত সায় দিল কংগ্রেসের পক্ষে। শেষমেশ কর্ণাটক ভোটের ফলাফলে শেষ হাসি হাসছে কংগ্রেস। এদিকে, শনিবারের বারবেলা গড়াতেই সেখানে বিজেপির হার নিশ্চিত হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল থেকে এই ভোট ঘিরে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। খোঁচার সুরে টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এদিন একটি টুইটে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিজেপিকে। কর্ণাটকের ভোটের ফলাফলের পর মহুয়া তাঁর টুইটে তোলেন বজরংবলী ও এলপিজি গ্যাসের প্রসঙ্গ। খোঁচার সুরে মহুয়া লেখেন,'ধন্যবাদ কর্ণাটক, বজরংবলীকে ছাপিয়ে এলপিজিকে বেছে নেওয়ার জন্য।' উল্লেখ্য, সদ্য কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের শেষলগ্নে বিজেপি তার প্রচারে ঝড় তোলে দেবতা বজরংবলীকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারের মিছিলে ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগান ওঠে। ওর নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহারের একটি দিক। যেখানে বলা ছিল, কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে কর্ণাটকে, তাহলে পিএফআই যেমন নিষিদ্ধ হবে তেমনই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা বজরংদলও নিষিদ্ধ হবে। এরপরই গেরুয়া শিবির সরব হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর সাফ নিন্দা করে। অন্যদিকে, বিজেপির তরফে কংগ্রেসের এই ইস্তেহারের বার্তাকে তীব্র কটাক্ষ করা হয়। অন্যদিকে, কংগ্রেসের বহু নেতাকে দেখা যায়, বজরংবলীর মূর্তি নিয়ে প্রচারে চলতে। সদ্য কর্ণাটকে ভোট প্রচারে গিয়ে আরজেডির তেজস্বী বলেন, ‘বজরংবলী খুব রেগে গিয়েছেন বিজেপির ওপর’। এরপর শনিবারের ১৩ মের বেলা গড়াতেই দেখা যায় বিজেপি পিছিয়ে পড়েছে অনেকটাই। কর্ণাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে ফের একবার মসনদে ফিরছে কংগ্রেস।
( খাটল না মেরুকরণ, দুর্নীতি থেকে মুখ ফেরাল মানুষ, কেন কর্ণাটকে পাঁকে পড়ল পদ্ম)