লোকেশ কুমার চেন্নাইতে সুইগি ফুড ডেলিভারিতে কাজ করেন। সোমবারও তিনি খাবার ডেলিভারি করছিলেন। কিন্তু এর ৪৮ ঘন্টা পরে ২৯ বছরের লোকেশ কুমার হঠাৎ-ই চলে আসে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। তাঁকে নেদারল্যান্ডস শিবিরে নেট বোলার হিসাবে পাওয়া যায়। ওডিআই বিশ্বকাপের আগে আলুরে নেদারল্যান্ডস প্রাক-বিশ্বকাপ শিবির করেছে। সেৎানে স্পিনদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতেই সাহায্য করার চেষ্টা করছেন লোকেশ কুমার।
লোকেশ ২০১৮ সাল থেকে ফুড ডেলিভারি বয় হিসাবে কাজ করছেন। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল ডাচেদের শিবিরে নেট বোলারের জন্য। তারা চার জন নেট বোলার বেছে নেয়। তার মধ্যে একজন হলেন লোকেশ। নেদারল্যান্ডস ম্যানেজমেন্ট ভারতের প্রায় ১০,০০০ বোলারদের মূল্যায়ন করার পরে লোকেশকে বেছে নেওয়া হয়। একজন চায়নাম্যান বোলার চাইছিল নেদারল্যান্ডস। লোকেশকে সেই ভূমিকাতেই নেওয়া হয়েছে। আর এই সুযোগ পেয়ে আপ্লুত লোকেশ। তিনি বলেছেন, ‘এটি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি। আমি এখনও টিএনসিএ তৃতীয় বিভাগ লিগেও খেলতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: যুজি কি কারও সঙ্গে মারামারি করেছে, নাকি ঝগড়া- চাহালকে দলে না নেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক হরভজন
বুধবার ডাচ শিবিরে যোগদানকারী লোকেশ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘আমি চার বছর ধরে পঞ্চম বিভাগে খেলেছি এবং আমি চলতি মরশুমের জন্য চতুর্থ-বিভাগের দল ইন্ডিয়ান অয়েল (RO) S&RC-তে যোগ দিয়েছি৷ নেট বোলার হিসাবে নেদারল্যান্ডস আমাকে বেছে নেওয়ার পর মনে হয়েছে যে, আমার প্রতিভা অবশেষে স্বীকৃতি পেয়েছে। নেদারল্যান্ডস দলের সদস্যরা আমাকে উন্মুক্ত বাহুতে স্বাগত জানিয়েছেন। সেশন শুরুর আগে নেট বোলারদের জন্য একটি আবির্ভাব অনুষ্ঠান ছিল। খেলোয়াড়রা আমাদের বলেছিলেন, নিঃসংকোচে খেলতে। কারণ এটাই আমাদের দল। ইতিমধ্যে অনুভবও করছি যে, আমি ডাচ পরিবারেরই অংশ।’
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ ফাইনালে বিধ্বংসী স্পেলে ভর করে ODI Rankings-এর মগডালে উঠে পড়লেন সিরাজ
লোকেশ আরও বলেন, ‘বিজ্ঞাপনটি দেখার পর, আমি একবার চেষ্টা করে দেখতে আগ্রহী ছিলাম। আমি অনুভব করেছি যে, অন্যদের চেয়ে এগিয়েই থাকব, কারণ দেশে খুব বেশি চায়নাম্যান বোলার নেই। নেদারল্যান্ডস একজন রহস্যময় স্পিনারের সন্ধানে ছিল এবং আমি সেই সুযোগটা পাই।’
লোকেশ জানিয়েছেন যে, খাদ্য সরবরাহের নির্বাহী হিসাবে কাজ করা পরোক্ষ ভাবে তাঁকে একজন ক্রিকেটার হিসাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করছে। তিনি বলছিলেন, ‘আমার কলেজের দিনগুলির পরে, আমার মনোযোগ ছিল ক্রিকেটে। আমি চার বছর ক্রিকেটে কাটিয়েছি। ২০১৮ সালে আমি একটি চাকরি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি গত চার বছর ধরে সুইগির সঙ্গে আছি। আমি শুধুমাত্র খাবার সরবরাহ করে অর্থ উপার্জন করি। এছাড়া আমার আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। কাজের সময় ফ্লেক্সিবেল এবং আমি যখন খুশি ছুটি নিতে পারি।’