দরকারের সময় ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠলেন ক্যাপ্টেন। তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগের গুরুত্বপূর্ণ এলিমিনেটরে ডিন্ডিগুল ড্রাগনসকে কার্যত একার হাতে জেতালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই সুবাদে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ড্রাগনস।
চলতি তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগে ডিন্ডিগুল ড্রাগনসকে নেতৃত্ব দিতে নেমে ব্যাটে-বলে ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্স উপহার দিচ্ছেন অশ্বিন। তিনি ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে প্লে-অফের আগেই তিনটি বড় ইনিংস খেলেন। তবে এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে নিজের সেরা ইনিংসটি তিনি তুলে রেখেছিলেন প্লে-অফের জন্যই।
বুধবার টিএনপিএল ২০২৫-এর এলিমিনেটরে ড্রাগনসের প্রতিপক্ষ ছিল ত্রিচি গ্র্যান্ড চোলাস। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ত্রিচি। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করে। ওপেন করতে নেমে কার্যত টেস্ট খেলেন ওয়াসিম আহমেদ। তিনি ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪১ বলে ৩৬ রান করে রান-আউট হন।
২০ বলে ৩৩ রান করেন জাফর জামাল। তিনি ৪টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন সুরেশ কুমার ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ২৩ রান করেন। ড্রাগনসের হয়ে ক্যাপ্টেন অশ্বিন ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। সন্দীপ ওয়ারিয়র উইকেট না পেলেও ২ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ডিন্ডিগুল ড্রাগনস ১৬.৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২০ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের টিকিট হাতে পায় ড্রাগনস।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ওপেন করতে নেমে ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৮৩ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। ৪৮ বলের মারকাটারি ইনিংস অশ্বিন ১১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। ত্রিচির হয়ে কে ঈশ্বরন ৩ ওভারে ২২ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। অল-রাউন্ড পারফর্ম্যান্সের সুবাদে সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।