আইসিসি যে তাদের বার্ষিক র্যাঙ্কিং আপডেট প্রকাশ করেছে, সেখানে ক্রিকেটের সব ফর্ম্যাটেই বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। পুরুষদের বার্ষিক ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ভারত তাদের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট টিম র্যাঙ্কিংয়ে তাদের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে।
ওডিআই-এ ভারতের জায়গা আরও শক্তিশালী হয়েছে, ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান
সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪ সালের মে মাস থেকে খেলা সকল ম্যাচের হার ১০০ শতাংশ এবং আগের দুই বছরের ৫০ শতাংশ ধরা হয়েছে। ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে, ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট ভারত এই বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে শীর্ষে তাদের জায়গা আরও শক্তিশালী করেছে, তাদের রেটিং পয়েন্ট ১২২ থেকে ১২৪-এ উন্নীত হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড, যারা তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে ছাপিয়ে গিয়েছে, যারা এখন তৃতীয় স্থান জায়গা পেয়েছে।
এদিকে শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে বড় লাফ মেরেছে। তারা র্যাঙ্কিংয়ে বড় উন্নতি করেছে। পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছাড়িয়ে দুই ধাপ উপরে উঠে এসেছে তারা। ষষ্ঠ থেকে চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে লঙ্কা ব্রিগেড। পাকিস্তান পাঁচে নেমেছে। এদিকে ইংল্যান্ডকে ছাড়িয়ে গেছে আফগানিস্তান। তারা সাতে উঠে এসেছে। আটে নেমেছে ব্রিটিশ ব্রিগেড। এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে নবম স্থানে পৌঁছেছে। দশে নেমে গিয়েছে বাংলাদেশ।
টি২০-তেও শীর্ষে ভারত, ছোট দলগুলো র্যাঙ্কিংয়ে নজর কেড়েছে
টি-টোয়েন্টির দিক থেকেও ভারত শীর্ষে রয়েছে, যদিও অস্ট্রেলিয়ার উপর তাদের লিড ১০ থেকে কমে নয় পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত বছর তারা আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে, তার পরে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করেছে এবং ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে অন্যান্য সিরিজ জয় করেছে। টি২০-তে র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও পরিবর্তন নেই, ২০২২ সালের বিজয়ী ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দু'বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা একই ক্রমে রয়েছে। ২০১৪ সালের বিজয়ী শ্রীলঙ্কা ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে, পাকিস্তান নেমে গিয়েছে আটে। এছাড়া আয়ারল্যান্ড এখন জিম্বাবোয়েকে পিছনে ফেলে ১১তম স্থানে রয়েছে। ১২-তে নেমে গিয়েছে জিম্বাবোয়ে।
রেটিং পয়েন্টের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান দেশ হলো কানাডা, যারা নয় পয়েন্ট বেশি পেয়ে ১৯তম স্থানে উঠে এসেছে। ওমানের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছে কানাডা। ওমানের আবার আট পয়েন্ট কমেছে। র্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্টের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ এখন ওমান। বার্ষিক আপডেটে বাহামা (আট ধাপ এগিয়ে ৫১তম) এবং এস্তোনিয়া (সাত ধাপ এগিয়ে ৬১তম) সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। টি২০-তে ১০০টি দলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ গত তিন বছরে তারা কমপক্ষে আটটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। ২০১৯ সালে যখন বিশ্ব র্যাঙ্কিং চালু করা হয়েছিল, তখন র্যাঙ্কিংয়ে ৮০টি দল ছিল।
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে পতন হয়েছে ভারতের
এদিকে, টেস্টে, অস্ট্রেলিয়া, যারা সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে এবং বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে, তারা ১২৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে তাদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে, যদিও তাদের লিড ১৫ থেকে কমে ১৩ পয়েন্ট হয়েছে। নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের পর ইংল্যান্ড দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে, তবে বাকি অবস্থানগুলি অপরিবর্তিত রয়েছে, এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০টি দল র্যাঙ্কিং পেয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যেতে আয়ারল্যান্ডকে আগামী বছর আরও একটি টেস্ট খেলতে হবে, আর আফগানিস্তানকে তালিকায় যোগ দিতে আরও তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে।