আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। রাজপথে মিছিল, রাত দখল থেকে স্লোগান সবই দেখেছে বাংলার মানুষ। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি থেকে সিবিআই তদন্ত এবং মামলা চলে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযানও হয়। তখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, বিনীত গোয়েলের দিন শেষ হয়ে এসেছে। তারপর এই ঘটনার পর পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে নবান্নে আলোচনা হয়। কিন্তু সরকারিভাবে এখনও জানানো হয়নি পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়ার কথা।
বিনীত গোয়েলকে এখন যদি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেটার অর্থ হবে বিরোধীদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করা। ইতিমধ্যেই বিনীত গোয়েলের পুলিশ পদক ফিরিয়ে নিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও এখনই সরানো হচ্ছে না বিনীত গোয়েলকে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। কারণ কলকাতা পুলিশই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে। তারপর এই মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই। এখনও বড় কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি সিবিআই।
আরও পড়ুন: ‘এবার শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে লক্ষ্য করে আক্রমণও’, প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ককে তোপ কুণালের
এই ঘটনা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। ধর্ষণ–খুনের ঘটনায় তদন্তে গাফিলতি এবং ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে যখন দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগে পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে সরব হন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকী পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চেয়ে তাঁর কাছেই ডেপুটেশন দেন। আর প্রতীকী মেরুদণ্ড আর গোলাপ নিয়ে মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এসবের পরেও বিনীত গোয়েলের উপর চাপ বাড়তে থাকে। তবে বিরোধীদের আশা এখনই পূর্ণ হচ্ছে না।