দুর্নীতি ইস্যুতে জেরবার তৃণমূল নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আর কোনও যোগ নেই তাঁর। ২০১৪ সালে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন মুনমুন। ২০১৯ সালে তাঁকে আসানসোল কেন্দ্র থেকে টিকিট দেয় দল। সেখানে বাবুল সুপ্রিয়র কাছে পরাজিত হয়ে চোখের জল ফেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার পর গত ৪ বছর রাজনীতির বৃত্তে দেখা যায়নি মুনমুন দেবীকে। অবশেষে রাজনীতি ছাড়ার কথা জানালেন তিনি।২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি মৃত্যু হয় মুনমুন সেনের মা, প্রবাদপ্রতীম অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের। সুচিত্রা সেনের চিকিৎসা ও শেষ যাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পারিষদদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সুচিত্রা সেনের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ঘোষণা হয় লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা। তাতে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে প্রবাদপ্রতীম বামপন্থী নেতা বাসুদেব আচার্যর বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। গ্ল্যামারের ক্যারিশ্মায় সবাইকে চমকে দিয়ে বাঁকুড়ার ৮ বারের সাংসদকে হারিয়ে দেন তিনি।২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। মুনমুনকে রাজ্যে বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত আসানসোল কেন্দ্র থেকে টিকিট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মোদী ঝড়ে রাজ্যে তৃণমূলের একাধিক শক্তপোক্ত ঘাঁটি যেখানে তছনছ হয়ে গিয়েছে, তখন মুনমুনের বেশি কিছু করার ছিল না। আসানসোলে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রির কাছে পরাজিত হন তিনি। গণনাকেন্দ্র থেকে বেরনোর সময় তাঁর চোখের জল দেখেছিল সারা বাংলার মানুষ।নির্বাচনে হারের পর থেকে রাজনৈতিক বৃত্ত থেকে গায়েব হয়ে যান মুনমুন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন বা অন্য কোনও সময় তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এরই মধ্যে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শোনো, আমি কোনও পার্টিতে নেই আর।’