ফুটপাথবাসীদের নাইটশেল্টারে পাঠাতে বিশেষ উদ্যোগ KMC-র, পুলিশ কমিশনারকে চিঠি

রাতে শহর কলকাতার ফুটপাথে থাকবে না কোনও ফুটপাথবাসী। তাদের নাইট শেল্টারে পাঠাতে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা। এ নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখতে চলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আসছে শীত, তার আগেই রাতে নাইট শেল্টারে ফুটপাথবাসীরা যাতে থাকা শুরু করেন তার ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা।মেয়র বলেন,'শীতে যে মানুষটির বাড়িতে থাকার যাওয়ার জায়গা নেই, যিনি ঠান্ডায় কাঁপছেন, তাঁদের কথা অনেকেই ভাবেন না। তা কথা ভেবে নাইট শেল্টার তৈরির উদ্যোগ নিয়ে রাজ্য। ৬০০-র বেশি মানুষ ওই সব নাইট শেল্টারে থাকতে পারবেন। আরও সাতটি জায়গা পাওয়া গিয়েছে যেখানে আরও ১০০০ মানুষ থাকতে পারবেন।'ফুটপাথবাসীদের নাইট শেল্টারে পাঠানোর জন্য সক্রিয় হতে হবে পুলিশকেও, তেমনটা মনে করেন মেয়র। তিনি বলেন, 'কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব সন্ধ্যার পর যদি কাউকে রাস্তায় দেখেন, তবে তাঁকে যেন শেল্টারে পাঠানো হয়। রাস্তার থাকলে যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে। তাই তাদের অনুরোধ করব তারা যেন আশ্রয়ে গিয়ে থাকেন।'(পড়তে পারেন। যানজটে জেরবার বিটি রোড, বড় সিদ্ধান্ত নিল ব্যারাকপুর কমিশনারেট)রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ৪২টি 'আশ্রয়' অর্থাৎ নাইট শেল্টার তৈরি করা হয়েছে। আরও ১৫টি আশ্রয় তৈরি করা হবে। যাতে রাতে শহরের সমস্ত ফুটপাথবাসীকে আশ্রয় দেওয়া যায়। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার অধীনে আটটি 'আশ্রয়' রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলেঘাটায় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে নবম আশ্রয়ের উদ্বোধন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।কলকাতা পুরসভা ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী পথেঘাটে গৃহহীন অবস্থায় কম বেশি ৩০ হাজার মানুষ বাস করেন। রাতে তাদের মাথায় ছাদের ব্যবস্থা করত গেলে আরও নাইটশেল্টার লাগবে। কলকাতা ১৪০ টি নাইটশেল্টার তৈরি করে জমির প্রয়োজন। শেল্টার তৈরির জন্য কেন্দ্রের অনুদান মিললেও জমির অভাবে আরও শেল্টার তৈরির কাজ আটকে রয়েছে।পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জমির জন্য রেল এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাদের কাছে অনেক জমি পড়ে রয়েছে সেই জমি তারা যদি নাইটশেল্টার তৈরির জন্য দেন তবে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।