স্বাভাবিকের থেকে ১৩ দিন পর গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করল বর্ষা। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার বর্ষা প্রবেশ করেছে গোটা ঝাড়খণ্ড, বিহারে ও দিল্লিতে। বর্ষা ঢুকেছে উত্তর প্রদেশের একাংশেও।
আরও পড়ুন - রাজভবনের সামনে শুভেন্দুর ধরনা কবে? তারিখ নিয়ে মতবিরোধে এখন বিশ বাঁও জলে
পড়তে থাকুন - সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর, শহরের বুকে বৈঠক হবে?
শুক্রবার মৌসম ভবন থেকে প্রকাশিত মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতির মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে গোটা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। গত ২১ জুন দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করে বর্ষা। উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে ৩০ মে। অবশেষে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের প্রায় ১ মাস পর গোটা পশ্চিমবঙ্গ ঢুকল মৌসুমী বায়ু। সাধারণত ১৫ জুনের মধ্যে গোটা পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢুকে যায়। এবার ২৮ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিকে।
একই সঙ্গে এদিন এক ধাক্কায় গোয়া বিহার ও ঝড়খণ্ডে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে রাজধানী দিল্লিতেও। সেখানে বর্ষার প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জলের চাপে ভেঙে পড়েছে দিল্লি বিমানবন্দরের সামিয়ানা ও তার কাঠামো। কাঠামো চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
আরও পড়ুন - নির্বাচিত বোর্ড না থাকা পুরসভা নিয়ে ফিরহাদকে নির্দেশ মমতার, পুরভোট কি আরও পরে!
পূর্বাভাস বলছে শুক্রবার গোটা দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। মৌসুমী বায়ু দেরিতে প্রবেশ করায় দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পুরোদমে বর্ষা প্রবেশের পর সেই ঘাটতি মেটে কি না সেটাই এখন দেখার।