আজ, সোমবার মুর্শিদাবাদ সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে তিনদিনের সফরে এসেছেন তিনি। এই জেলাতেই ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে কদিন আগে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। তবে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আর তাই সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অশান্তির বিরুদ্ধে বলে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। কিন্তু সিপিএম এই সফরকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। এই তোপ দাগেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এই হিংসা এবং অশান্তি যে পরিকল্পিত তাও নবাবের জেলার মাটিতে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। আর ক্ষতিপূরণও দিতে চান। সকলের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই সফর নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘মন্দির মসজিদ রাজনীতি করে আজ এই অবস্থা তৈরি করেছে। এতদিন পর মমতা যাচ্ছে। এখন গিয়ে কোনও লাভ হবে না। মুর্শিদাবাদে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়ই ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করতে চাইছে। মানুষে মানুষে ভাগ করতে চাইছে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ বারাসত সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় তৃণমূলের, ৪৮ বছর পর পালাবদল
এখানে তিনদিন থেকে সবটা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতি, ধূলিয়ান থেকে শুরু করে সামশেরগঞ্জ ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেলিমের বক্তব্য, ‘পুলওয়ামার ঘটনার সময় দেখা গিয়েছিল বিজেপি দোষীদের না ধরে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে আক্রমণ করছে। এখনও সেটাই হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এখন ওখানে নাটক করতে গিয়েছে। আমি মনে করি ওখানকার মানুষের উচিত ওনাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো। এখন পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছে বলে। যখন ওই ঘটনা ঘটল তখন পুলিশ ছিল না। আরজি করের ঘটনা, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, জিনিসের দাম, মানুষের নিত্য সমস্যা এই সব থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে তৃণমূল এবং বিজেপি।’