মালদার গাজোলে স্বামীহারা এক মহিলাকে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। নির্যাতিতার বয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজ্যে হিন্দু মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তবাবুর পোস্ট করা ভিডিয়োয় মহিলাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি একজন হিন্দু মহিলা। আমার স্বামী নেই। ২টো ছেলেকে নিয়ে আমি বাঁচতে চাই।
ভিডিয়োয় নির্যাতিতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ঘটনার দিন আমাদের বাড়িতে বিয়ে ছিল। আমি গরু - ছাগল চরাতে মাঠে গিয়েছিলাম। গরু - ছাগল চরিয়ে ফেরার সময় ৩ জন আমার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাকে টেনে এক জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করতে থাকে তারা। আমার গলা টিপে ধরে। কেউ বলে ওর বুকের ওপর চেপে বস। আমি তখন বাঁচার জন্য আর্তনাদ করি।

উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে
মহিলাকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমি তাদের বলি, আমি হিন্দু মহিলা, আমার স্বামী নেই, ২টো ছেলেকে নিয়ে আমি বাঁচতে চাই। তখন ওই যুবকরা বলে, এই মাগীকে মার শালা। আমি ওদের শাস্তি চাই।
এই ভিডিয়ো পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির ছত্রছায়ায় পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নারীদের নিরাপত্তার ক্রমশ অবনমন ঘটছে। মালদার গাজোল ব্লকের শালাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে একজন স্বামীহারা মহিলাকে ৩ জন যুবক মিলে গণধর্ষণের চেষ্টা করেছে। তাঁর বয়ানে তাঁর অসহায়তা ও নৃশংসতার উদ্বেগজনক কাহিনী উঠে এসেছে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি এরজন হিন্দু মহিলা… আমাকে বাঁচতে দেও।’ এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার উদ্বেগজনক ছবি তুলে ধরে। এই ঘটনায় প্রশাসন কোনও রকম দায় নিতে অস্বীকার করেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতারা ও বিজেপি বিধায়ক নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন ও তাঁকে সম্ভাব্য সব রকম সহযোগিতা করেছেন। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধযায়, আপনাকে ধিক্কার।