রাতভর নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল তৃণমূল কর্মী ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে শ্রীমতি নদীর ধার থেকে ওই তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার সাতসকালে দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই তৃণমূল কর্মীর নাম সুব্রত দেবনাথ (৩০)। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঙালি লিভ-ইন পার্টনারকে মাথা কেটে খুন! ৬ মাস পর গ্রেফতার প্রেমিক
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রত পেশায় একজন গৃহশিক্ষক ছিলেন। এছাড়াও, তিনি জীবনবিমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবেও কাজ করতেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল রাতে তিনি বাড়িতে ছিলেন। সেই সময় একটি ফোন আসে তাঁর কাছে। ফোন পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু, তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজ খবর শুরু করেন। ফোনেও যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু, যোগাযোগ করতে পারেননি। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। জানা যাচ্ছে, ইটাহারের জয়হাট পঞ্চায়েতের সোনাডাঙি এলাকার বাসিন্দা সুব্রত গৃহশিক্ষক এবং জীবনবিমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে যুক্ত থাকলেও শাসক দলের কর্মী হিসেবেই এলাকায় বেশি পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আজ সকালে তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই শ্রীমতি নদীর ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়াও, তাঁর দেহে একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে, যা দেখে মনে হচ্ছে, তাঁকে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় খুনের তত্ত্বই জোরদার হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রতর পরিবার থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে মৃতের পরিবারের এক সদস্য জানান, শুক্রবার ফোন পেয়ে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আজ সকালে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর দাবি, সুব্রতকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এদিকে, জয়হাট পঞ্চায়েতের প্রধান রফিকউদ্দিন দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা জড়িত? কী কারণে খুন? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।