পঞ্চায়েত সদস্য–সহ তিন তৃণমূল কর্মীকে গলার নলি কেটে খুন, ক্যানিংয়ে চাঞ্চল্য

বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাও আবার এগিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাস্তার ধারে একের পর এক দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেল। রক্তাক্ত সেই দেহগুলির পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমার খোল। নির্বাচন আসার আগেই এই ঘটনায় শিউরে উঠেছেন মানুষজন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রামে এটাই এখন চর্চার বিষয়। কারণ পঞ্চায়েত সদস্য–সহ তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে বলে খবর।ঠিক কী ঘটেছে ক্যানিংয়ে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি, ভূতনাথ প্রামাণিক ও ঝন্টু হালদার নামে দুই তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকে ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। তাঁরা তিনজনই মোটরবাইক চড়ে যাচ্ছিলেন। পিয়ার পার্কের কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁদের পথ আটকে গুলি চালাতে থাকে। তিনজনই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তখন তাঁদের গলার নলি কেটে দিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনা প্রকাশ্যে এল কী করে? স্থানীয়রা সেখান দিয়ে যেতে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তিনটি দেহ পড়ে আছে। মোটরবাইকগুলিও পড়ে আছে। মৃতদেহগুলির পাশে বোমার খোল রয়েছে। এই খবর চাউর হতেই নিহতদের পরিজনেরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানার পুলিশকে। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।কী তথ্য পেল পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, গুলি করে খুনের পর গলার নলি কেটে দেওয়া হয় এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং দুই তৃণমূল কর্মীর। কারা এই কাণ্ড ঘটাল তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনার পিছনে বিজেপিই আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এভাবেই খুন করে জিততে চাইছে তারা।