সোমবার সন্দেশখালিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই সন্দেশখালির সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে কার্যত হিন্দু ভোটকে এক বাক্সে ফেলার জন্য বিজেপি এদিন চেষ্টার কোনও কসুর করেনি। সেই সঙ্গেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও একহাত নিলেন তিনি।
শুভেন্দু মঙ্গলবার কার্যত সিপিএম নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একটা মুসলিম ভোটও তো আনতে পারেন না। হিন্দু ভোট কেটে নেন। এই যে আপনারা, করুন না লাল ঝাণ্ডা। আমরা ক্ষমতায় এলে আপনারা পঞ্চায়েতে দাঁড়াতে পারবেন। কিন্তু আগে এদের তাড়াতে হবে…।
সেই সঙ্গেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, সন্দেশখালিতে তাঁর একটি ভাড়া করা বাড়ি রয়েছে। সেখান থেকে গীতা বিলি করা হবে। সেটা হবে গীতা বিলি করার সেন্টার । সেখানে মাসে অন্তত একবার করে আসার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এদিন শুভেন্দু নিজেকে সন্দেশখালির কুটুম বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন আমি সন্দেশখালির কুটুম।
শুভেন্দু বলেন, আপনাদের কালকে বলে গিয়েছেন, ষাট বছরের পরে সবাইকে বিধবা ভাতা দেব। ছিঃছিঃ কাঞ্চন মল্লিক ৬ লাখ টাকা বিল জমা দিয়েছে বিধানসভায়। আইপ্যাকের কটা চোরকে সন্দেশখালিতে পাঠিয়েছিল। সেখানকার সরল মানুষকে ঠকিয়ে মিথ্যে স্ট্রিং অপারেশন করে বাজারে ছেড়েছিল। ফেক ভিডিয়ো করে রেখাকে হারানোর জন্য। আপনাদের উপর ভীষন রাগ। সন্দেশখালিতে সন্দেশ খাওয়াতে হবে। জেলেখালিতে জেলে হাব। তবে কি গোসাবাতে গোসাপের হাব! আর ডিএমগুলো বলিহারি হ্যাঁ ম্যাডাম। সন্দেশের দোকান করব হ্যাঁ ম্যাডাম। সবেতেই হ্যাঁ ম্যাডাম। বলেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু বলেন, এখানকার মানুষের অবস্থা ভালো নয়। বাম আমলে কুড়ি হাজার টাকা করে ঋণ ছিল। এখন ঋণ হয়েছে মাথাপিছু ৫৯ হাজার টাকা করে। এই যে কিছু বাড়িতে ৬০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন না? সেটাও ভারত সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে। কাল এমনভাবে কথা বলেছেন মনে হবে না মুখ্য়মন্ত্রী, মনে হবে বিরোধী দলনেতা বা ৬ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নন্দীগ্রামে আমি জিতেছি। আমার ভাইকে জিতিয়েছি কাঁথিতে। অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে তমলুকে জিতিয়েছি। সন্দেশখালি যে পথ দেখিয়েছে, আগামী দিন পশ্চিমবঙ্গ সেই পথে হাঁটবে।
শুভেন্দু বলেন, বদলা নেব। আইন মেনে বদলা নেব। আমাকে হারাতে গিয়েছিল কলকাতা থেকে। আমি হারিয়ে পাঠিয়েছি। চাকরি নেই…কার্যত বাংলার বেকারত্বের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন শুভেন্দু।