দিঘার জগন্নাথ ধামে বিগ্রহ নির্মাণের জন্য উড়িষ্যা থেকে নিম কাঠ চুরি করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য উড়িষ্যা সরকারের তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত। শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দুর্গাচকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে কমিটি গঠন করেছে বিজেপি পরিচালিত উড়িষ্যা সরকার। তাদের সেই পদক্ষেপকেও সমর্থন করেছেন শুভেন্দুবাবু।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘উড়িষ্যা সরকারকে ধন্যবাদ জানাব যে তারা তদন্ত কমিশন বসিয়েছে। তাদের ফৌজদারি মামলা করা উচিত। রাজেশ দইতাপতিকে দিয়ে তৃণমূল নিম কাঠ চুরি করিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি পদক্ষেপ করা উচিত। তাঁকে যদি উড়িষ্যা পুলিশ হেফাজতে নেয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গ্রেফতার হবে। কারণ ওকে নিমকাঠটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুরি করতে বলেছে। চোর মমতা জগন্নাথ দেবের নিম কাঠটাও চুরি করাল, এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই। এটা বাংলা ও বাঙালি হিন্দুদের লজ্জা।’
গত বুধবার দিঘায় রাজ্য সরকার দ্বারা নির্মিত জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর জানা যায়, সেখানকার জগন্নাথ বিগ্রহ তৈরি উড়িষ্যার পুরুষোত্তম ধামের বিগ্রহ তৈরির জন্য মজুত নিম কাঠ দিয়ে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় উড়িষ্যায়। শুক্রবার ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসনিক প্রধান অরবিন্দ পাধিকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ২০১৫ সালে নবকলেবর অনুষ্ঠানে যে বাড়তি নিম কাঠ বেঁচেছিল সেটা দিঘার মন্দিরে মূর্তি তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল কি না সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।
বলে রাখি, প্রতি ১২ বছর অন্তর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে নবকলেবর অনুষ্ঠান হয়। নিম কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার নতুন মূর্তি। শেষবার ২০১৫ সালে নবকলেবর অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই সময় উদ্বৃত্ত নিম কাঠ মজুত ছিল মন্দির কমিটির কাছে।