প্রায় একবছর আগে, গত ২০২৪ সালের ৭ এপ্রিলে মমতাবালা ঠাকুর এবং তাঁর মেয়েকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। বড়মা বীণাপানিদেবীর ঘর 'দখল' করাকে কেন্দ্র করে রাতের বেলায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িতে। শান্তনু ঠাকুর, তাঁর বাবা সহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল গাইঘাটা থানায়। সেই সব অবশ্য এখন অতীত। আজ মতুয়াদের পুণ্যস্নান। শুরু হবে বারুণী মেলা। এই আবহে জেঠিমা মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে হাত মিলিয়েই এই মেলা আয়োজনের বার্তা দিলেন শান্তনু। বিজেপি সাংসদের কথায়, 'আমার বোধদয় হয়েছে।' (আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু খলিস্তানি জঙ্গি নেতা মহল সিং বব্বরের)
আরও পড়ুন: RAW-কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো USCIRF-কে তুলোধোনা ভারতের, প্রশ্ন প্যাটার্ন নিয়ে
বারুণী মেলা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'মিলেমিশে এক হচ্ছি, এটাই বড় কথা। আমরা কেউ না থাকলেও মেলা হবে। এটা বাস্তব কথা। বাজে বার্তা যাওয়া উচিত নয়, এটাই বড় কথা। আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাই, যে আমার বোধদয় হয়েছে, আমার চিত্তনিষ্ঠ হয়েছে, যে একসঙ্গে করা উচিত। তো আমি নিজের কাছে নিজেই কৃতজ্ঞ।' এদিকে একসঙ্গে মেলার আয়োজন করা নিয়ে মমতাবালা বলেন, 'সকলে একটু শান্তির জন্যই এখানে আসতে। তারা স্নান করে ঠাকুরকে পুজো দেয়। সকলে একসঙ্গে করলে, সকলেই আনন্দিত হবে।' (আরও পড়ুন: 'ভারত-চিন সম্পর্কে ইস্যু থাকবে ভবিষ্যতেও, তবে...', অকপট জয়শংকর)
এদিকে এখন এমন সুরে সুর মিললেও কয়েকদিন আগে পর্যন্ত ঠাকুর বাড়ির দুই পক্ষ একে অপরের দিকে রণংদেহি মূর্তি ধারণ করে ছিল। ঠাকুরবাড়ির আকচা-আকচির জেরে এবার মতুয়া মেলার আয়োজন কোন পক্ষ করবে, তা নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় জয় হয় জেঠিমা মমতাবালার।