ইউরোপা লিগ জয়ের পরই পোস্তেকুগলুকে অপসাড়ণ! টটেনহ্যামের ওপর ক্ষুব্ধ অজিরা

অস্ট্রেলিয়ার তারকা ফুটবল কোচ অ্যাঞ্জে পোস্তেকুগলু। এক মজাদার কোচিং কেরিয়ার তাঁর। যেখানেই যান, প্রথম বছরে কিছুই জেতেন না। আর দ্বিতীয় বছরে নিশ্চিতভাবেই ট্রফি জিতে মরশুম শেষ করেন তিনি। দ্বিতীয় মরশুমে খালি হাতে শেষ করেছেন পোস্তকুগলু, এমন কোচিং কেরিয়ারের কোনও পরিসংখ্যানই তাঁর জীবনে নেই। ৪১ বছরের ইউরোপিয়ার ট্রফির খরা কাটানোর পর সকলেই যখন ধরে নিয়েছিল টটেনহ্যাম হটস্পার্সের কোচের পদে আগামী মরশুমেও হেসে খেলে থেকে যাবেন পোস্তেকুগলু, তখনই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। জানা যায়,ক্লাবকে আগামী মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার টিকিট পাইয়ে দেওয়া কোচকে নাকি আর রাখবে না ইংল্যান্ডের এই ক্লাব, আর যা শোনার পরই ফুটবলবিশ্বে কাটাছেঁড়া চলছে স্পার্সদের নিয়ে।আসলে ঘরোয়া মরশুমে পোস্তেকুগলুর পারফরমেন্স এবারের ভালো ছিল না। ইংলিশ প্রিমিয়র লিগে ১৯৭৬-৭৭ মরশুমে তাঁদের অবনমন হয়েছিল, এরপর সব থেকে খারাপ ফল এবারই ইপিএলে করেছিল টটেনহ্যাম, সেই কারণেই তাঁকে চাকরি হারাতে হল। ইউরোপা লিগ জিতিয়েও নিজের চাকরি বাঁচাতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ান এই হাই প্রোফাইল ফুটবল কোচ।ইতিমধ্যেই টটেনহ্যামের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে শুরু হয়ে গেছে তুমুল চর্চা। বিশেষ করে অজি মিডিয়ায় তো ব্যাপক সমালোচনা চলছে স্পার্সের। সিডনি হেরাল্ডের এই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘টটেনহ্যামের কর্তা লেভি চান ইপিএলে যেন তাঁর দল ওপরের দিকে শেষ করে, ইউরোপা লিগ জেতা বা কোনও ট্রফি জেতার থেকেও তাঁর কাছে প্রাধান্য ইপিএলটাই। তাই আগামী কোচ এসেও যে ক্লাবের শীর্ষকর্তাদের তিনি খুশি করতে পারবেন, এমন কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না ’।প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার রবি স্লেটারও টটেনহ্যামের এই সিদ্ধান্তর বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলছেন, ‘আমার মনে হয় টটেনহ্যামের শীর্ষকর্তা লেভি নিজেকে এক কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে গেল। এমনিতেই স্পার্সের সমর্থকরা ওকে খুব একটা পছন্দ করে না, আর এটা করে ও অনেকটা জুয়া খেলার মতোই সিদ্ধান্ত নিল। পোস্তেকুগলু কিন্তু কথা দিয়েছিল, যে তাঁর দ্বিতীয় মরশুমের শেষে তৃতীয় মরশুম আরও ভালো যায়। ’। শেষ ছয় বছরে অ্যাঞ্জে পোস্তেকুগলুকে নিয়ে এই নিয়ে পঞ্চম ম্যানেজারকে অপসারণ করলেন টটেনহ্যামের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল ফিলিপ লেভি। প্রসঙ্গত স্কটল্যান্ডের ক্লাবের হয়ে হোক বা অস্ট্রেলিয়া, জাপান বা ইংল্যান্ডের টটেনহ্যামের হয়ে, বরাবরই নিজের দ্বিতীয় মরশুমে সাফল্য পেয়ে এসেছেন অ্যাঞ্জে পোস্তেকুগলু।