মক ড্রিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। তারইমধ্যে চাপে পড়ে ভারতের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পরই ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে নয়াদিল্লি কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। তারমধ্যে অন্যতম সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত। আর তা কার্যকর হতেই ক্ষোভপ্রকাশ করে বিলাওয়াল বলেছিলেন, 'সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্ত বইবে।' এরপরেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেল ‘ব্লক’ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এই আবহে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে বিলাওয়াল বলেন, 'ওই অপরাধে পাকিস্তানের কোন হাত ছিল না। আমরা সন্ত্রাসবাদ রফতানি করি না, আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার।' প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, 'ভারত যদি শান্তির পথে হাঁটতে চায়, তাহলে তাদের খোলা হাতে আসা উচিত, মুষ্টিবদ্ধভাবে নয়। তাদের তথ্য নিয়ে আসা উচিত, মিথ্যা নয়। আসুন আমরা প্রতিবেশী হিসেবে বসে সত্য কথা বলি। যদি তারা তা না করে... তাহলে তাদের মনে রাখা উচিত যে পাকিস্তানের জনগণকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়নি। পাকিস্তানের জনগণের লড়াই করার দৃঢ় সংকল্প আছে, কারণ আমরা সংঘাত ভালোবাসি না, বরং আমরা স্বাধীনতা ভালোবাসি।'
আরও পড়ুন-মাওবাদী নির্মূলে অভিযানে বড় প্রত্যাখ্যাত! ডেপুটি সরপঞ্চকে নৃশংস খুন নকশালদের
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা, যাতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপরেই পাকিস্তানকে উপযুক্ত দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ২৩ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিকভাবে আঘাত এনেছে নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি রদ, আটারি সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলের মতো একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এরপরেই ২৫ এপ্রিল বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, 'সিন্ধু নদ আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে। এখানে হয় জল বইবে না হলে তাঁদের (ভারতীয়) রক্ত বইবে।'
আরও পড়ুন-মাওবাদী নির্মূলে অভিযানে বড় প্রত্যাখ্যাত! ডেপুটি সরপঞ্চকে নৃশংস খুন নকশালদের
'পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও...', রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে নিরুৎসাহ শশী
বিলাওয়াল ভুট্টোর এক্স হ্যান্ডেল ‘ব্লক’
ভারতীয়দের বিরুদ্ধে মন্তব্যের পরেই বিলাওয়াল ভুট্টোর এক্স হ্যান্ডেল ‘ব্লক’ করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাঁর সঙ্গে গত রবিবার পাকিস্তানের জেলবন্দী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এক্স হ্যান্ডেলও ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়েছে। পহেলগাঁও হামলার পর থেকে ধাপে ধাপে পাকিস্তানি বহু রাজনীতিক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে মোদী সরকার। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লা তারারের এক্স হ্যান্ডল ব্লক করে দেওয়া হয় ভারতে। পাশাপাশি পাকিস্তানি অভিনেতা হানিয়া আমির, মাহিরা খান, আলি জাফর, ফাওয়াদ খানের ইনস্টাগ্রাম ব্লক করা হয়েছে ভারতে। ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করা হয়েছে। গত শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ইউটিউব চ্যানেলও ব্লক করা হয়েছে।