ফের কি পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা এয়ার স্ট্রাইক চালাবে ভারত? পুঞ্চে ভারতীয় সেনার গাড়িতে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকেই সেই আতঙ্কে ভুগছে পাকিস্তান। এমনই জানালেন প্রাক্তন কূটনীতিবিদ আবদুল বসিত। তিনি জানান, যখন থেকে পুঞ্চে ভারতীয় সেনার গাড়ির উপর জঙ্গি হামলা চলেছে, তখন থেকেই সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভয় চেপে বসেছে পাকিস্তানিদের মনে। সেই বিষয় নিয়েই চর্চা চলছে। যে কাজটা উরি জঙ্গি হামলা এবং পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর করেছিল ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে তাঁর দাবি, বর্তমানে ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাবে না।
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি ভিডিয়োয় পাকিস্তানের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ বলেছেন যে ‘ভারত আরও একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা এয়ার স্ট্রাইক চালাবে বলে আলোচনা করছেন পাকিস্তানের মানুষ। তবে আমার মনে হয় যে ওরা (ভারত) এখন সেই পথে হাঁটবে। কারণ এখন ওরা এসসিও (সাংহাই কো-অপারেশন) বৈঠক আয়োজন করছে এবং জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করছে। যতদিন ওরা (ভারত) (জি২০ গোষ্ঠীর) সভাপতিত্ব করবে, ততদিন কোনওরকম দুঃসাহসিক কাজ করবে না। কিন্তু পরের বছর নির্বাচনের সময় ভারত আবারও সেই কাজটা (সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা এয়ার স্ট্রাইক) করতে পারে ভারত। ভারতে নির্বাচনের আগে সেটা (সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা এয়ার স্ট্রাইক) হতে পারে।'
গত ২০ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে ভারতীয় সেনার গাড়ির উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই জঙ্গি হামলায় ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু হয়। যে জায়গায় হামলা চালানো হয়েছিল, সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যে এলাকায় ঘন জঙ্গল আছে। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, ওই এলাকায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের গতিবিধি ধরা পড়েছে। যে জিহাদিরা জঙ্গলে লুকিয়ে ভারতীয় সেনার কনভয়ে হামলা চালানোর ছক কষেছিল। তারপর 'রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড' (রকেট লঞ্চার, যা কাঁধ থেকে ছোড়া যায়) এবং অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে হামলা চালিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার সাত জঙ্গি।
যদিও সেই ঘটনার সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পাকিস্তনের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ। জঙ্গি হামলার ঘটনাকে ‘বৈধ সংগ্রাম’ হিসেবে চালানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে (জঙ্গিগোষ্ঠী) সেই কাজটা করুক না কেন, সেটা মুজাহিদিন হোক বা যে হোক, তারা সেনার উপর হামলা চালিয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা চালায়নি। ওরা সত্যিকারের সংগ্রামে জড়িত আছে। যদি কেউ একটি সংগ্রাম চালিয়ে যায় এবং সাধারণ নাগরিকদের জায়গায় সেনার উপর হামলা চালায়, তা আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করে না।’
আরও পড়ুন: Poonch Attack on Army Truck: পুঞ্চের সেনা ট্রাকে ছিল ইফতারির ফল, শোকে ইদ পালনে 'না' কাশ্মীরি গ্রামের
বশিত এমন একটা সময় জঙ্গি হামলার সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যখন তাঁর পাকিস্তানের মানুষ হাহাকার করছেন। রীতিমতো দুর্ভিক্ষ চলছে। রকেট গতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, খাদ্যের দামের উত্থান হয়েছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আটার লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও পাকিস্তান জঙ্গিদের মদত দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে ভারত। তারইমধ্যে পাকিস্তানের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ বলেন, ‘ভারত জানে যে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )