আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ থেকে জেলবন্দি রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও লোকসভা নির্বাচনের আগে কিছু সময়ের জন্য জামিন পেয়েছিলেন। তবে আপাতত তিহাড়েই রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারের পরেই আম আদমি পার্টির হাল ধরতে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন তাঁর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল। এই অবস্থায় সুনিতা দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনীতিতে। সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন আম আদমি পার্টির প্রবীণ নেতা মণীশ সিসোদিয়া।
আরও পড়ুন: ‘কেজরিওয়াল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন যদি…’ সরব মণীশ সিসোদিয়া
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পরে সুনিতা তাঁর এবং দলের মধ্যে সেতু হিসাবে কাজ করেছিলেন। দিল্লি, গুজরাট এবং হরিয়ানায় লোকসভা নির্বাচনের জন্য আপের প্রচারেও সুনিতা কেজরিওয়াল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মার্চে রামলীলা ময়দানে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ব্লকের সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন সুনিতা কেজরিওয়াল। এছাড়াও একাধিক নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সময় বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছিলেন, ‘লালুপ্রসাদ যাদব যখন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়েছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী নানা রকম ঘোষণা করতেন। তার পর তিনি হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন।’ উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় জেলে যেতে হয় লালুকে। আদালতে আত্মসমর্পণ করার আগে স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করে দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হতে চলেছে বলে জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন অনুরাগ। তারপরেই এ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনীতিতে।পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সেই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন সিসোদিয়া।