ইজরায়েলের পরমাণু স্থাপনা সহ নেতানিয়াহুর দেশের বহু গোপন নথি ইরানের হাতে? বিস্ফোরক দাবি তেহরানের

চলছে হামাস বনাম ইজরায়েলের যুদ্ধ। ইজারায়েলের ওপর হামাসের হানার পর থেকেই গাজায় ক্রমাগত যুদ্ধের মাঝে দাপট দেখিয়েছে ইজরায়েল। সেই গাজা যুদ্ধের মাঝেই এবার ইরানের বুক থেকে এল বড় খবর। সদ্য ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী ইসমাইল খাতিব দাবি করেছেন, ইরানের হাতে ইজরায়েলের বহু গোপন নথি এসেছে।শনিবার, ইরানের মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ইজরায়েলের বহু গোপন নথি ইরানের হাতে এসেছে। ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী ইসমাইল খাতিব দাবি করেন, তাঁদের হাতে ‘গুপ্তধন’ রয়েছে। খাতিব দাবি করেন, ইরানের কাছে, ইজরায়েলের পরমাণু স্থাপনা বিষয়ক নানান তথ্য এসে গিয়েছে। এছাড়াও ইজরায়েলের সঙ্গে আমেরিকা, ইউরোপ সহ বাকি এলাকাগুলির সম্পর্কের হদিশও ইরান পেয়েছে ওই নথি থেকে। ইরানের বিস্ফোরক দাবি, তারা ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বিষয়েও বেশ কিছু জিনিস জানতে পেরেছে। যদিও ইজরায়েলের তরফে এই বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, গত বছর ইজরায়েলের এক পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। সেখানে তথ্য হাতানোর অভিযোগ ওঠে। সেই তথ্যের কথাই ইরান এতদিনে এসে বলছে কি না, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। ইরানের মিডিয়ার কাছে সেদেশের মন্ত্রী খাতিব বলেছেন,' এই ধনভাণ্ডার স্থানান্তর সময়সাপেক্ষ ছিল এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল। স্বাভাবিকভাবেই, স্থানান্তর পদ্ধতিগুলি গোপন থাকবে তবে নথিগুলি শীঘ্রই উন্মোচিত করা উচিত।'২০১৮ সালে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন যে ইসরায়েলি এজেন্টরা ইরানি নথিপত্রের একটি বিশাল 'আর্কাইভ' পেয়েছে যা দেখায় যে তেহরান পূর্বে জানার চেয়ে বেশি পারমাণবিক কাজ করেছে।( ১০ জুন থেকে সৌভাগ্য বর্ষণ হবে একঝাঁক রাশিতে! গুরুর অস্ত লাভ দেবে কাদের?)( স্বামী পিনাকীর সঙ্গে নাচের তালে মেতে উঠলেন মহুয়া! চলছিল বলিউডের কোন গান?)মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর বোমা হামলার হুমকি দিয়েছেন, যদি তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে একটি চুক্তিতে না পৌঁছায়। কিন্তু এপ্রিল মাসে ট্রাম্প ইরানের সাথে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনার পক্ষে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে ইসরায়েলি হামলার পরিকল্পিত পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমি শক্তিগুলো বলছে যে ইরান পারমাণবিক বোমার জ্বালানির জন্য উপযুক্ত স্তরের কাছাকাছি উচ্চ মাত্রার বিশুদ্ধ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম পরিশোধন করছে। যদিও ইরান তা মানতে নারাজ।