সদ্য চিন সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। আর তাঁর বেজিং-এ পা রাখার পরই চিন ও ভারতের মধ্যে একগুচ্ছ বিষয়ে সহমত পোষণের বার্তা আসে। দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের গ্রীষ্মেই শুরু হচ্ছে কৈলাস মানসরোবর যাত্রা। এছাড়াও চিনের সঙ্গে ভারতের সরাসরি বিমান পরিষেবা শুরুর ক্ষেত্রেও দিল্লি ও বেজিং সহমত প্রকাশ করেছে। এমনই বেশ কয়েকটি বিষয়ে লাদাখ সংঘাত পরবর্তী সময়ে ভারত ও চিন তাদের সম্পর্ক ঘিরে আরও এক ধাপ এগিয়েছে।
বেজিং-এ এদিন ভারত ও চিনের বিদেশ সচিব ও চিনের উপ বিদেশমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক আয়োজিত হয়। গত অক্টোবরে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাজানে সাক্ষাৎ হয়েছিল চিনের প্রেসিডন্ট শি জিনপিংয়ের। সেই সময় দুই পক্ষই পারস্পরিক সম্পর্কের অবস্থা পর্যালোচনা করেছিল। সেই সময়ও স্থিতিশীল মানবকেন্দ্রিক সম্পর্কের ওপর জোর দেওয়া হয়। এবারেও সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দুই দেশের প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়েছে। আমেরিকায় ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের মসনদে আসার পর দিল্লির সঙ্গে বেজিংয়ের এই আলোচনা পর্ব নিঃসন্দেহে বিশ্ব কূটনীতিতে একটি বড় দিক।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কোভিডের সময় থেকে কৈলাস মানসরবর যাত্রা স্তব্ধ ছিল। চলতি বছরের গ্রীষ্ণেই তা শুরু হচ্ছে। গালওয়ান সংঘর্ষ পরবর্তী সময়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই মানস সরবর যাত্রা শুরু নিয়ে সহমত পোষণ করেছে দুই পক্ষ। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে দিল্লি ও বেজিং, দুই পক্ষের সংশ্লিষ্ট কারিগরি কর্তৃপক্ষ তাড়াতাড়ি এই উদ্দেশে একটি আপডেট ফ্রেমওয়ার্ক সঙ্গে নিয়ে দেখা করবে এবং আলোচনা করবে বলে স্থির হয়েছে। দুই দেশের আন্তঃসীমান্ত নদী ও জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য, অন্যান্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করতে একটি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের প্রাথমিক বৈঠক চিন ও ভারতের মধ্যে হবে, বলে খবর। এছাড়াও দুই দেশের মানুষের মধ্যে নানন বিষয়ে আদান প্রদানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত ও চিনের মধ্যে ৭৫ বছর পূর্তি হচ্ছে কূটনৈতিক সম্পর্কের। ফলে সেই বিষয়কে সামনে রেখে ২০২৫ জুড়ে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে এই মাইলস্টোনকে উদযাপন করবে দুই দেশ, যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হয়।