আজ, রবিবার থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কোটা বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত প্রতিবাদীরা। শনিবার থেকেই চাপা উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ জুড়ে। নতুন করে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পদ্মাপারে। কারণ এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ ঘিরে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে আরও দু’জনের। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, মৃত্যুর সংখ্যা ৩। বাংলাদেশের পড়ুয়া, যুবসমাজের এবার দাবি একটাই, শেখ হাসিনা সরকারের অপসারণ। আজ, রবিবার থেকে সে দেশে শুরু হয়েছে অসহযোগ আন্দোলন।
এদিকে বাংলাদেশে এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক ছাত্রনেতা। মাগুরায় পুলিশ থেকে শুরু করে শাসকদলের কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান (রাব্বি)। মাগুড়ার হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসারা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই যুবকের শরীরে গুলি লেগেছে। আরও ১০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রাম এবং গাজিপুরের শ্রীপুর এলাকায় ওই দু’জন মারা গিয়েছেন। কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, গাজিপুর–সহ নানা এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: একশো দিনের কাজে বাংলাকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি, কেন্দ্রের নথি ফাঁস করলেন ডেরেক
অন্যদিকে রংপুরে শাসকদল আওয়ামী লিগের সাংসদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আজ সকালে সাংসদ আবুল কালাম আহসানুল হক চৌধুরীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় আওয়ামী লিগ এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগের কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছে বলে খবর। চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী মহম্মদ শহিদ।