জল্পনা মতোই জানুয়ারির শুরুতেই কাবাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। বহুদিন ধরেই কানাডার রাজনৈতিক আঙিনায় ও তাঁর দলের অভ্যন্তরেও ট্রুডোর ওপর চাপ বাড়ছিল। এককালে কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড ঘিরে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। এবার সেই জাস্টিন ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতেই সেই পদের দৌড়ে উঠে এসেছে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূতের নাম। একজন অনিতা আনন্দ, অন্যজন জর্জ চাহাল। দেখা যাক, এই লিস্টে উঠে আসা সম্ভাব্যদের তালিকা।
অনিতা আনন্দ
ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং বর্তমান পরিবহন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যমন্ত্রী অনিতা আনন্দকেও দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হচ্ছে। তাঁর বাবা-মা উভয়েই তামিলনাড়ু এবং পাঞ্জাবেক ভারতীয় চিকিৎসক ছিলেন। তামিল বাবা ও পঞ্জাবি মায়ের সন্তান অনিতা অক্সফোর্ডের প্রাক্তনী।
জর্জ চাহাল
বেশ কয়েকজন সাংসদ ভারতীয় বংশোদ্ভূত অন্তর্বর্তীকালীন নেতা - আলবার্টার লিবারেল এমপি জর্জ চাহালকে পছন্দ করেছেন। চাহাল গত সপ্তাহে সেই অনুরোধের সাথে তার ককাস সহকর্মীদের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। পেশাগতভাবে চাহাল একজন আইনজীবী। জর্জ চাহালের কাছে বিভিন্ন কমিটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড
ট্রুডো সরকারে এককালের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন ক্রিস্টিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি নিয়ে ট্রুডোর সাথে মতপার্থক্যের মধ্যে ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ করেন। যা সরকারকে সঙ্কটে ফেলে। ফ্রিল্যান্ডের দিকে নজর রয়েছে সব মহলের, কারণ তিনি তাঁর শক্তিশালী আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং অর্থনৈতিক দক্ষতার সাথে ট্রুডোর জায়গায় আসার জন্য সবচেয়ে বড় দাবিদার হতে পারেন, বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মার্ক কার্নে
ব্যাঙ্ক অফ কানাডা এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর ছিলেন এককালে, সেই মার্ক কার্নি নেতৃত্বের জন্য শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন ট্রুডো গদি ছাড়তেই। তাঁর আর্থিক বুদ্ধিমত্তা এবং অর্থনৈতিক কূটনৈতিক শক্তি তাঁর দুর্দান্ত রাজনৈতিক সাফল্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে। তবে তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে এবং তাঁর বহিরাগত পরিচিতি, এই রাস্তায় তাঁর জন্য বাধা হতে পারে।
ডমিনিক লিব্ল্যাঙ্ক
একজন সিনিয়র লিবারেল ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন, লেব্ল্যাঙ্কের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা তাঁকে নেতৃত্বের পদের জন্য একটি কার্যকর প্রার্থী করে তোলে। ফ্রিল্যান্ডের প্রস্থানের পর লেব্ল্যাঙ্ক বর্তমানে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একটি সূত্র, ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল’কে জানিয়েছে যে ট্রুডো আলোচনা করেছেন যে লেব্ল্যাঙ্ক অন্তর্বর্তী নেতা হিসাবে পদ গ্রহণে ইচ্ছুক কিনা। ফলে এই ট্রুডো ঘনিষ্ঠও রয়েছেন দৌড়ে।
এছাড়াও এই দৌড়ে নাম উঠে আসছে মেলানি জোলি, ফ্রান্সিস ফিলিু শ্যাম্পেন, ক্রিস্টি ক্লার্কের মতো তাবড় কানাডার নেতা নেত্রীদের। তবে শেষ হাসি কে হাসবেন, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনীতি।