মহারাষ্ট্রের পুণেতে গণধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, গলায় ছুরি ঠেকিয়ে নির্যাতিতা তরুণীকে তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করল দুষ্কৃতীরা। আর সেই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করল। তারপর তরুণীর গয়না নিয়ে চম্পট দিল। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ ধর্ষণ এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ, ২ যুবককে ন্যাড়া করে দিল গ্রামবাসীরা, পরে গ্রেফতার
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার বিজেপি ও জোটসঙ্গী শাসিত রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুণেতে এই ঘটনা ঘটে। দুই ভাইবোন একটি নির্জন স্থানে একসঙ্গে বসেছিলেন। সেখানে বাইকে করে আচমকা দুই অজ্ঞাত যুবক তাঁদের কাছে আসে। এরপর তারা ছুরি দেখিয়ে দুজনকে হুমকি দেয়। তাঁদের দুজনকে ঘনিষ্ঠ হতে বলে। আর সেই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে। এরপর অভিযুক্তরা তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে তরুণীর সোনার নাকছাবি, একটি সোনার কানের দুল ছিনিয়ে নেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রঞ্জনগাঁও থানার সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর মহাদেব ওয়াঘমোডে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুজনের বয়স ২০-এর কাছাকাছি। ঘটনার পর নির্যাতিতা ১১২ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অভিযোগ জানান। ঘটনায় পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইন্সপেক্টর জানান, তরুণীর দেওয়া বর্ণনার ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তরুণীর কাছে ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম মহিলার কাছে পৌঁছায়। তারা তরুণীর কাছ থেকে অভিযুক্তদের বিবরণ সংগ্রহ করে এবং তল্লাশি শুরু করে। যার ফলে তাদের দ্রুত গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। লুট হওয়া গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে ৭ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুণের স্বরগেট ডিপোতে পার্কিংয়ে থাকা এমএসআরটিসি শিবসাহি বাসে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল মহারাষ্ট্রে। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাপক অনুসন্ধান অভিযানের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পুণে জেলায়।