৫ বছরের এক শিশুকে নৃশংসভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী কিশোরের বিরুদ্ধে। ধর্ষণ এবং অত্যাচারে খুদের সারা শরীরজুড়ে ক্ষত তৈরি হয়েছে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যৌনাঙ্গ। যারফলে ২৮টি সেলাই পড়েছে সেখানে। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শিশুটি। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গোয়ালিয়রের কমলা রাজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছে নির্যাতিতা শিশু। এমন নির্মম ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠেছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: পুণে বাসকাণ্ডে অভিযুক্ত গ্রেফতার, ধর্ষণের প্রায় ৬৬ ঘণ্টা পর পুলিশের জালে দত্তাত্রেয়
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির মুখ এবং গোপনাঙ্গে গুরুতর কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে শিশুকে যখন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই সময় তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। (আরও পড়ুন: 'বিহারিদের সিভিক সেন্স নেই' বলে সাসপেন্ড শিক্ষক,বলেছিলেন- 'কলকাতা পছন্দ করে না…')
চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। তবে এখন কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে শিশুটি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গোপনাঙ্গে অভ্যন্তরীণ আঘাতের কারণে ২৮টি সেলাই করতে হয়েছিল এবং কোলোস্টোমি করতে হয়েছিল। চিকিৎসকরা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে তার গোপনাঙ্গ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পুনর্নির্মাণ করতে জটিল অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। (আরও পড়ুন: ইমেল মোদী-রাষ্ট্রপতিকে, আরজি করের নির্যাতিতার বাবা জবাব পেলেন…)
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি। ঘটনার অভিযুক্ত ১৭ বছরের কিশোর মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত কিশোর মেয়েটিকে প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়।সেখানেই শিশুর উপর যৌন নির্যাতন চালায় সে। ধর্ষণের পর বারবার মেয়েটির মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয় অভিযুক্ত। পরে নির্যাতিতাকে সেখান ফেলে সে পালিয়ে যায়। এদিকে, মেয়েটি নিখোঁজ থাকায় তাকে প্রায় দুঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে মেয়েটিকে তার ছোট ভাই এবং অন্যান্য শিশুরা দেখতে পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটি তার বাবা-মাকে এই নৃশংস ঘটনার কথা জানায়। (আরও পড়ুন: রহস্যজনক ভাবে হোটেল ঘরে মৃত্যু TMC বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী, সঙ্গে থাকা মহিলা আটক)
পরিবারের দাবি, অভিযুক্তকে হয় ফাঁসি দেওয়া হোক, নাহলে রাস্তার মোড়ে গুলি করে মারা হোক। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার শিবপুরীর জেলাশাসকের দফতরের সামনে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিজেপি, কংগ্রেস এবং স্থানীয় বাসিন্দারা একজোট হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তাতে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানানো হয়েছে।