লাফটারসেন মানেই যেন আর চার পাঁচটা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের থেকে আলাদা কিছু কন্টেন্টের প্রত্যাশা করেন দর্শকরা। তিনি বারংবার তাঁর ভিডিয়োর মাধ্যমে রূপকের সাহায্যে নানা ধরনের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এদিনও কালবৈশাখী ঝড়ে ঝরে পড়া আমের রূপকেও দিলেন বিশেষ বার্তা। কী সেটা?
আরও পড়ুন: 'বৌঠান'কে ভুলে অন্য নারীর সঙ্গে জন্মদিন পালন! এবার কি তবে দূরত্ব বাড়বে স্বতন্ত্র-কমলিনীর?
কী ঘটেছে?
৮০-৯০ এর দশকের বাচ্চারা ভালোই মতোই পরিচিত কালবৈশাখী হওয়ার পর কখনও লোডশেডিং হয়ে যাওয়া তো কখনও বাড়ি বা অন্যের বাগানে ঝরে পড়া আম কুড়োতে যাওয়ার আনন্দ। তবে সেই সময় ভালো ভালো আম বেছে তুললেও থেঁতলে যাওয়া বা খারাপ আম স্বাভাবিক ভাবেই কেউ তুলতো না। এদিন সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন লাফটারসেন। একই সঙ্গে সমাজকে দিলেন এক বিশেষ বার্তা।
ঘরে হোক বা বাইরে মহিলাদের নানা সময় হেনস্থা, নির্যাতনের শিকার হতে হয়। শুনতে হয় কটূক্তি। কখনও কখনও এসবের পর তাঁদেরকেই দায়ী করা হয়। বলা হয় তাঁদের আচরণ, পোশাকের জন্যই নাকি এমনটা ঘটেছে। সমাজের এই কথা যে সেই নিপীড়িত মেয়েটার মনে কী প্রভাব ফেলে কেউ বোঝে না। বুঝতে চায় না। একঘরে হয়ে থাকে যেন। ট্রমা সহ্য করে। সেই সমস্ত মেয়েদের কথাই এদিন কালবৈশাখী ঝড়ে ঝরে পড়া আমের মাধ্যমে বোঝালেন লাফটারসেন। আর তাতেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। কুর্নিশ জানাচ্ছেন তাঁকে তাঁর এই ভাবনার জন্য।
আরও পড়ুন: টলিউডের নায়িকাদের জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ পত্র! আরিয়ানের পার্টিতে মিমি-শুভশ্রী সহ ডাক পেলেন কারা?
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'আপনি পুরোদমে সিনেমার স্ক্রিপ্ট কেন লেখেন না? আপনার কাজের মাধ্যমে সমাজকে কত ভালো বার্তা দেওয়া যাবে।' আরেকজন লেখেন, 'যখন আপনি বুঝতে পারেন এই ভিডিয়ো আসলে আম নিয়ে নয়। স্যালুট আপনার ভাবনাকে।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'কী স্ট্রং এবং দরকারি সামাজিক বার্তা। খুব ভালো লাগল।' চতুর্থ জন লেখেন, 'এই ভাবনাগুলো পান কীভাবে?' পঞ্চম ব্যক্তি লেখেন, 'তোমার কনসেপ্ট নিয়ে কোন কথা হবে না, জাস্ট ফাটাফাটি! অনেক অনেক বড় হও, আরও অনেক বড় হও। অনেক ভালোবাসা মানুষের থেকে পাও সব সময় ভগবানের কাছে প্রে করি।' ষষ্ঠ ব্যক্তির কথায়, 'এখন সত্যি আম খেতে গেলে না এই কনসেপ্টটা খালি চোখের সামনে আসছে বারবার, মনের মধ্যে খুব চাপা ভয় হচ্ছে। তুমি এমন এক একটা ভিডিয়ো বানাও না ভেতরটাকে নাড়িয়ে ছেড়ে দেয়।' আরেক ব্যক্তি লেখেন, 'আর বাড়িতে থাকলেই কি সেফ? গাছ থেকেও জোর করে পেড়ে নিয়ে গেলে?'