দুবাই গিয়ে বিকিনি পরার ছবি শেয়ার করলেন টলিউডের এই সুন্দরী নায়িকা। আর যা দেখে নেটিজেনদের তো রীতিমতো চক্ষুস্থির। অবশ্য এই কন্যের সৌন্দর্য নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। তবে স্নানপোশাকে যেন তা আরও বেড়েছে।
‘কাজললতা’, ‘সাঁঝের বাতি’, ‘সাহেবের চিঠি’র মতো একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। সঙ্গে জিতের ছবি ব্যুমেরাংয়েও দেখা গিয়েছে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কার কথা হচ্ছে। ঠিকই ধরেছেন স্নান পোশাকে থাকা এই মেয়েটি দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। দুবাই থেকে ফোটোখানা পোস্ট করে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
নীল রঙের পোশাকটিকে অবশ্য বিকিনি বলা ঠিক হচ্ছে না, এটি হল মনোকিনি। দেখা গেল বহুতলের ছাদে সুইমিং পুল। আর পায়ে পায়ে সেদিকেই হেঁটে চলেছেন দেবচন্দ্রিমা। চুল গুটিয়ে মাথার উপরে তোলা। মাথায় সানগ্লাস। পিছন থেকে ছবিটা নেওয়া হয়েছে। নীল-সবুজ রঙের মনোকিনি দেবচন্দ্রিমার গায়ে। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ফোটোটি পোস্ট করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৪৮-এও ফিট টোটা! সাদা ভাত খেয়েই সিক্স প্যাক, আর কী থাকে অভিনেতার রোজের ডায়েটে
কালারস চ্যানেলের সুপার ন্যাচারাল ধারাবাহিক ‘সুহাগন চুড়েল’-এ তিন মুখ্য চরিত্রের অন্যতম ছিলেন দেবচন্দ্রিমা। রীতিমতো ১ বছর ধরে ক্রমাগত অডিশন দিয়ে কাজ পেয়েছেন। সেই জন্য, টলিউডেও সেভাবে কাজ করা হয়ে ওঠেনি তাঁর। বাংলায় হইচই-এর পরিণীতা সিরিজে শেষ দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: ‘দেব যেভাবে বাসে করে ঘুরে, জিৎ কখনও…’, খাদানের জন্যই শো পাচ্ছে না স্বপ্নময় লেন? জবাব মানসীর
আপাতত দুবাইতে ছুটি কাটাচ্ছেন। আর সেখানকার ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করে চলেছেন সোশ্যালে। দুবাই গিয়ে একেবারে ১৩০০০ ফিট থেকে ঝাঁপ দেন অভিনেত্রী। ভারতে এখনও স্কাই ডাইভিং করার সুযোগ নেই। একাধিক তারকার মতো, তাই দুবাইতেই ছুটেছুলেন দেবচন্দ্রিমাও। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, ‘এটা পাখির মতো, এটা আমি! আমি প্লেন থেকে ঝাঁপ মারছি। সরি মা…!’
আরও পড়ুন: টপে গীতা এলএলবি, টিআরপি-তে ধামাকা পরিণীতার, জগদ্ধাত্রী-কথা-ফুলকি কত নম্বরে?
তবে বিকিনি পরায় অনেক কটাক্ষ। অনেকেই তাঁর রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও তাতে কান দিতে একেবারেই রাজি নন তিনি। বলেন, ‘আমার যথেষ্ট রুচিবোধ আছে। চাইলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ইচ্ছেমতো পোশাকে ছবি দিতে পারি। তাতে কারওরই কিছু বলার নেই। আমার কাজ নিয়ে যেমন প্রশংসা হয়, তেমন পোশাক নিয়ে নিন্দেও ওঁরা চাইলেই করতে পারেন। তবে এসব নিয়ে আমি অন্তত মাথা ঘামাতে রাজি নই।’