সোহা আলি খান এবং কুণাল কেমু গত মাসে তাদের ১০ বছরের বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন। বর্তমানে মেয়ের সাজানো সংসার দেখে মা শর্মিলাও বেশ খুশি। কিন্তু শুরুর দিকে তাঁদের বিয়ে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি ছিল তাঁর মায়েরই। অভিনেত্রী সম্প্রতি এ কথা প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন তাঁর মা প্রথমের দিকে কুনালকে বিয়ে করা নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন।
দ্য কুইজিটক পডকাস্টে সোহা এই প্রসঙ্গে নানা কথা ভাগ করে নেন। বলিউডে পা রাখার সময়ই সোহাকে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর মা বেশ কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সোহা জানান, সেই কথা তিনি প্রথমেই অমান্য করে ফেলে ছিলেন। বলিউডে কাজ করার আগেই শর্মিলা এই বিষয়ে তাঁকে সাবধান করেন। সোহা বলেন, ‘মা আমাকে বলেছিলেন, 'সোহা যা ইচ্ছে তাই কর, কিন্তু কখনও একজন অভিনেতাকে বিয়ে কর না।' কারণ শর্মিলা বিশ্বাস করতেন, ‘অভিনেতাদের খুব অহংকার থাকে পাশাপাশি প্রচন্ড মুড সুইংও হয়। আর তাও শুধুমাত্র নিজেরা সাফল্য পাচ্ছেন না বলে নয়, অন্যদের সাফল্য দেখেও হয়।’ তিনি অনুভব করতেন, ‘একজন অভিনেতাকে বিয়ে করলে একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ধৈর্য এবং বোঝাপড়ার প্রয়োজন হয়।’ কিন্তু সোহা জানান কুনালের সঙ্গী হিসাবে তাঁর ভূমিকার সঙ্গে ভালো ভাবে মানিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর বাবা ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর মানুষ ছিলেন। তিনি তাঁকে স্নেহের সঙ্গে শাসন করতেন। তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যে কখনও উচ্চস্বরে, চিৎকার করে কথা বলতে না। তিনি প্রয়োজনের সময় দৃঢ় ও কঠোর ছিলেন।
নায়িকা তাঁর নিজের মেজাজ সম্পর্কেও নানা কথা বলেন। সোহা নিজেকে তাঁর বাবার সঙ্গে তুলনা করে দাবি করেন যে তিনিও তাঁর মতো ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ। তিনিও এও জানান কুণালকে কী ভাবে শান্ত রাখতে হয় তা তিনি জানেন। যদিও তাঁর সাত বছর বয়সী মেয়েও তাঁকে হতাশ করে না। তবে সে মজা করে বলেছিল যে, তাঁর স্বামীই একমাত্র ব্যক্তি যে তাঁকে প্রকৃত অর্থেই বিরক্ত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ‘সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার্স দেখে কাজ দেওয়া হয়, এটা…’, পরিচয় গুপ্ত মুক্তির আগে মুখ খুললেন দর্শনা
তবে তাঁর মায়ের প্রাথমিক অনিচ্ছা থাকলেও, সোহা এবং কুনালের বিয়ে এবং তারপর এত বছর ধরে ভালো ভাবে সংসার করা প্রমাণ করেছে যে তিনি মনের কথা শুনে মোটেও ভুল করেননি।