বাবাদের জন্য আলাদা করে কোনও দিনের দরকার কি সত্যি হয়! সত্যি তো, এই মানুষটাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মেটায় সব আবদার। পুজোয় নিজের জামা না কিনলেও, বাড়ির সবাইকে জামা কিনে দেয়। নিজের মুখে খাবার তোলার আগে, খাবার দেন ছেলে-মেয়ের মুখে। আসলে আলাদা করে বাবাকে ভালোবাসি বলার সুযোগ তো হয় না বললেই চলে। তাই একটা দিন যদি ‘ফাদার্স ডে’ উপলক্ষে বাবাকে একটু ভালোবাসা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায়, তাহলে মন্দ লাগে না। তাই এই একটা দিন সকলেই তাঁর বাবাকে নিয়ে একটু বিশেষ ভাবে এই দিনটা কাটানোর চেষ্টা করে। তারকারাও আজ তাঁদের বাবাদের নিয়ে ভালোবাসা মাখানো পোস্ট শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তার মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়ে অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর পোস্ট। এই বিশেষ দিনে মা-কেই অভিনেতা ফাদার্স ডে-র শুভেচ্ছা জানালেন।
আরও পড়ুন: আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ট্রোল রিমকে, ‘আমার বোন বিমান চালক…’, কড়া জবাব নায়িকার
সায়ক লিখলেন, ‘ছোটবেলা থেকে বাবার ভালোবাসা, কেয়ার, গাইডেন্স, ইচ্ছেপূরণ, বায়না, পড়াশুনা, কোথাও ই সেভাবে পাইনি বাবা কে….। আমার মা-ই মা, আমার মা-ই বাবা। কিন্তু এখন এও বুঝি মায়ের পিছনে সাপোর্ট হয়ে সব সময় ছিল বাবা, তাই হয়তো একা হাতে আমাদের মানুষ করতে পেরেছে মা। ক্ষিদে পেলে মা, রাগ হলে মা, ঘুম না আসলে মা, পরীক্ষার পড়া পড়াবে মা, খারাপ নম্বর পেলে না বকে বোঝাবে মা। রাতে ভূতের ভয় ছাদে বাথরুম নিয়ে যাবে মা।'
তিনি আরও লেখেন, 'বাড়িতে রান্নার কিছু নেই, শেষ সম্বল দিয়ে মাংস কিনে এনে কাঁদতে কাঁদতে রান্না করা মা। সেই রান্না করতে করতে ‘আমার সকল দুখের প্রদীপ’ গান করা মা, হঠাৎ মাংসের গন্ধে ছুটে এসে মা কে আমার বলা ‘মা একটু দেবে?’ চোখের জল মুছে হাসি মুখে নিজের জন্য রাখা মাংসর টুকরো টা আমায় খাইয়ে দেওয়া আমার মা। রাতে একটা রুটি চিনি দিয়ে খাওয়া আমার মা! কিছু নেই ঘরে,মাসির বাড়ি গিয়ে লুকিয়ে মাসির হাত থেকে টাকা নিয়ে আসা মা, চাল শেষ, মামার বাড়ি গিয়ে বড় মামা থেকে চাল ডাল বয়ে আনা মা। একটু অটো ভরা জমিয়ে ছোদ্দিদা আর পূর্ণা মামির বাড়ি থেকে খাইয়ে আনা আমার মা।'
তারপর অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'তোমরাই বলো এমন মা কে ছেড়ে ফাদার্স ডে তে বাবা কে কি করে উইশ করি…। তাও ওই যে বললাম বাবা সব সময় মায়ের সঙ্গেই ছিল। আছে আর থাকবে শুধু এই জন্যই হ্যাপি ফাদার্স ডে বাবাই (অনুপম চক্রবর্তী) হ্যাপি ফাদার্স ডে মা (রেখা চক্রবর্তী)।