মহারাষ্ট্রে দুই নাবালিকার যৌন নিপীড়নের যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে অভিনেতা রীতেশ দেশমুখও মর্মাহত। এই চরম নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদে তিনি তাঁর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এক্স হ্যান্ডেলে।
আরজি কর কাণ্ডের জেরে উত্তাল শহর কলকাতা। 'মেয়েরা রাত দখল করো', দিয়ে শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ মিছিল, তারপর নানা স্তরের মানুষজন ও শিল্পীরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছিলেন সুবিচারের আশায়। তবে শুধু কলকাতা নয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় গোটা দেশ সরব হয়েছিল। পিছিয়ে ছিলেননা বি-টাউনের অভিনেতা অভিনেত্রীরাও। আলিয়া ভাট, করিণা কাপুর থেকে আয়ুস্মান খুরানা, ফারহান আখতাররা গর্জে উঠেছিলেন। সেই ঘটনার কিছু দিনের মধ্যে ফের মহারাষ্ট্রের এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত দেশবাসী।
আরও পড়ুন: ব্যবসার নিরিখে 'স্ত্রী ২' রাজ্যে পার করল কোটির গণ্ডি, আরজি করের জেরে পদাতিক-বাবলি দেখল না দর্শক?
এবার এই ঘটনায় ব্যথিত হয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রীতেশ তাঁর হতাশা কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে, দোষীদের 'কঠোরতম শাস্তি' দাবি করেছেন।
তাঁর পোস্টে, অভিনেতা লিখেছেন, 'একজন অভিভাবক হিসাবে আমি খুব বিরক্ত। এ ঘটনা কখনও ঘটা উচিতই নয়। এই ভয়ঙ্কর ঘটনা আমার কাছে খুবই বেদনাদায়ক। আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। স্কুলের পুরুষ কর্মীদের দ্বারা ৪ বছরের দুই কন্যা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে! এ আমি ভাবতেই পারছি না। স্কুলগুলি বাচ্চাদের জন্য তাঁদের নিজের বাড়ির মতোই নিরাপদ জায়গা বলে মনে করেন অভিভাবকরা। এই শয়তানের কঠোরতম শাস্তি হওয়া দরকার। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ তাঁর সময়ে দোষীদের তাদের যে প্রাপ্য শাস্তি তাই দিতেন। চৌরাং- আমাদের এই আইনগুলিকে কার্যকর করতে হবে।'
আরও পড়ুন: 'প্রকৃত সুপারহিরো নেই…' হলিউডে অ্যাভেঞ্জার্স বানানো নিয়ে কেন এমন বললেন ভিকি?
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের একটি স্কুলে দুই নাবালিকা ছাত্রীর উপর যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠেছে বিদ্যালয়ের সাফাই কর্মীর উপর। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মহারাষ্ট্র তথা দেশ।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ঘটনার উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জানিয়েছেন যে, এই মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করা হয়েছে এবং যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এএনআইকে বলেছেন, 'আমি বদলাপুরের ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি SIT গঠন করা হয়েছে এবং আমরা যে স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব। এই মামলার যত দ্রুত নিস্পত্তি করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া যায় তাঁর চেষ্টা করছি।'