মার্চ মাসে মেলবোর্নে একটি অনুষ্ঠানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরি করে যাওয়ায় দর্শকদের রোষের সম্মুখীন হতে হয়েছিল নেহা কক্করকে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে রীতিমতো কেঁদে ফেলেন নেহা। গায়িকাকে কাঁদতে দেখেও গলেনি দর্শকদের মন। ধেয়ে আসে কটাক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আকারে ভাইরাল হয়েছিল নেহার মেলবোর্নের কনসার্টের সেই ভিডিয়ো।
মেলবোর্নে ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পরেই নেহা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে তিনি এও বলেন, আসল ব্যাপারটি শুনলে কেউ আর কটাক্ষ করবে না। অনুষ্ঠানে দেরি করে যাওয়ার সমস্ত দায় তিনি দিয়ে দেন উদ্যোক্তাদের ঘাড়ে।
নেহার পোস্ট করার পরেই আয়োজকদের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল, মেলবোর্নের অনুষ্ঠানে ঠিক কী হয়েছিল, তা সকলকে সময় হলেই জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে ফাইভ স্টার হোটেল থেকে বুকিং সবকিছু নিয়ে যে ৪.২৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল, সে কথা জানিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন: ‘আগামী ছুটি কাশ্মীরেই কাটাব...’! সন্ত্রাসী হামলায় ভয় না পাওয়ার আহ্বান সুনীলল শেট্টির
মেলবোর্নে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা উল্লেখ করে এবার মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়ান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তা পেস ডি এবং র্যাপার বিক্রম সিং রন্ধাওয়া। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাঁরা জানান, মেলবোর্নের অনুষ্ঠানে নেহার দেরি করে পৌঁছানোর আসল কারণ।
আলাপচারিতায় মেলবোর্ন প্রসঙ্গ উঠে আসায় পেস ডি ও বিক্রম সিং রন্ধাওয়া বলেন, ‘মেলবোর্নের বিট প্রোডাকশন নেহা কক্করকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ইতিমধ্যেই উভয়পক্ষ এগিয়ে এসে যখন নিজেদের মন্তব্য প্রকাশ করেছেন তখন আমরা কেন পারব না?’
তাঁরা বলেন, ‘আমরা সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং সবকিছুই সামনে থেকে দেখেছি। অনুষ্ঠানের আয়োজকের সঙ্গেও কথা বলেছিলাম, উনি ভীষণ আন্তরিক একজন ব্যক্তি। ওঁর থেকেই আমরা জানতে পারি যে নেহা কক্কর অনুষ্ঠানে আসতে দেরি করেছিলেন, বারবার বলেছিলেন, এখন আমি যাব না।’
আরও পড়ুন: বউমার জন্য এমনটা করবে ছেলে! ছেলের কোন পদক্ষেপ মেনে নেননি মাধুরীর শ্বশুর-শাশুড়ি
আরও পড়ুন: 'সমালোচনা কষ্ট দেয়...', কেশরী চ্যাপ্টার ২ সাফল্যের মাঝেও কেন মন ভার অক্ষয়ের?
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিক্রম সিং রন্ধাওয়া বলেন, ‘সেদিন নেহাকে দেখার জন্য দর্শকের মধ্যে প্রবল উৎসাহ ছিল। সন্ধ্যে সাড়ে ৭ টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত ১০টায় তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন মঞ্চে। খুব স্বাভাবিকভাবেই দর্শকরা ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মানুষ সময়ের মূল্য দিতে জানেন।’