বেশ অল্প বয়সেই প্রথমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী মানালি দে। তবে মাত্র ৪ বছরে ভেঙে যায় সেই বিয়ে। ডিভোর্স নিয়ে হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলে পড়েন অভিনেত্রী। কখনো কখনো জবাবও দেন। কিন্তু কেন হয়েছিল মানালি আর সপ্তকের ডিভোর্স?
সঙ্গীত শিল্পী সপ্তক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ২০১২-র ২৯ নভেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মানালি দে। ২০১৬-তে তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয়। এর প্রায় চার বছর পর ২০২০ সালে পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন মানালি। আপাতত সুখের সংসার। খুব বেশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন না মানালি। তবে নিবেদিতা অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, খোলসা করেছিলেন তাঁর আর সপ্তকের ডিভোর্স কেন হয় তা।
নিবেদিতা যখন প্রশ্ন করেন মানালিকে, ডিভোর্সের পরেও সপ্তকের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে কি না, অভিনেত্রী স্পষ্ট করে দেন, ‘খারাপ সম্পর্ক হয়েছে বলেই তো একসঙ্গে থাকিনি। বন্ধুত্বের কোনও সিন নেই।’ সঙ্গে জানান যে, যেটা ছেড়ে চলে এসেছেন, সেটার দিকে পিছন ফিরে তাকানো না-পসন্দ তাঁর।
এরপর ছাড়াছাড়ির কারণ জানতে চাইলে মানালির জবাব ছিল, ‘আমি অত গভীরে ঢুকছি না। একসময় তো ভালো সম্পর্ক ছিল। কেন ওই বাড়ি ছেড়ে এলাম যদি জানতে চাও, তাহলে বলব, আমি বাড়ির একমাত্র মেয়ে। খুব আদরে বড়, বাবা-মা-দাদুর কাছে। আমাদের ছোটবেলা তো ফেয়ারি টেল পড়ে কাটে। ভাবি বিয়ে মানেই মজা। এরপর বিয়ের পর একটা রিয়ালিটি চেক আসে। সমস্যা বোধহয় আমারই ছিল। কারণ আমি বাড়ির মেয়ে হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। যেটা এই মুহূর্তে (বর্তমান শ্বশুরবাড়িতে) আমি বাড়ির মেয়ে হয়েই আছি। তাঁরা বোধহয় বাড়ির বউ করতে চেয়েছিল। সেই জায়গা থেকে আমিই হয়তো মানিয়ে নিতে পারিনি।’
‘আজকে আমি আমার বাড়িতে যেমন থাকি, অভিমন্যুর এখানেও তাই। ওর বাবা-মার সঙ্গেও আমার নিজের বাবা-মার মতো সম্পর্ক। আমি আমার বাবা-মার জন্য যতটা করি, শ্বশুর-শাশুড়ির জন্যও ততটা করারই চেষ্ট করি। আর এটা হয়েছে, তাঁরা আমাকে মেয়ের জায়গাটা দিয়েছেন বলেই। একটা দিক থেকে তো এই জায়গাটা তৈরি হয় না। একটা মেয়ে বিয়ের পর, একটা মানুষকে চিনে শ্বশুরবাড়িতে যায়। তাই তাঁকে অনেকটা মানিয়ে নিতে হয়। আসলে একটা হয় বাড়ি, আরেকটা থাকার জায়গা। আমার কখনোই ওদের বাড়িটাকে বাড়ি মনে হয়নি। আমার কখনোই নিজেকে ওদের বাড়ির মেয়ে মনে হয়নি। তাই হয়তো থাকতে পারিনি।’, আরও বলেন মানালি সেই সাক্ষাৎকারে।