অপহরণ এবং চাপ দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা, পূজাদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের গোয়া পুলিশের

বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম সুন্দর দে-র কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে টিভি অভিনেতা দম্পতি পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ভার্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল গোয়া পুলিশ। প্রাথমিকভাবে দে'র স্ত্রী মালাবিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জুন কলকাতার একটি থানায় অভিনেতা দম্পতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনাটি তাদের এখতিয়ারে হওয়ায় মামলাটি উত্তর গোয়ার কালাঙ্গুট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কুণাল, পূজা, পীযূষ কোঠারি ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অপহরণ, মারধর ও তোলাবাজির অভিযোগ এনেছে গোয়া পুলিশ। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, বয়ান রেকর্ড করার জন্য শ্যাম সুন্দর দে-কে গোয়া পুলিশের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। ‘আমরা তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরা দিতে বলেছি’, জানিয়েছেন এক আধিকারিক। শ্যাম সুন্দর দে'র স্ত্রী এফআইআর-এ জানিয়েছেন, পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ভার্মার সঙ্গে তাঁর স্বামীর পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। শ্যাম সুন্দর দে'র ঝুলিতে ৫০টি ছবি রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, 'তাঁর চলচ্চিত্র প্রকল্পগুলির জন্য বিনিয়োগকারী এবং ঋণদাতারা প্রায়শই তাঁর কাছে যান এবং সেই ক্ষমতাবলে কুণাল এবং পূজার সাথে ঘনিষ্ঠ, প্রায় পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যাঁরা তাঁকে তাঁর ব্যবসায়িক প্রকল্পের জন্য ফান্ড দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। মালবিকার দাবি, গত ৩১ মে তাঁর স্বামী গোয়ায় তাঁর সহকারীর সঙ্গে স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ করছিলেন এবং ভাড়া করা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ৩১ মে একটি কালো রঙের গাড়ি শ্যাম সুন্দরের গাড়ি আটকায় এবং তাঁকে গুন্ডারা, পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কোঠারি অপহরণ করে। তাঁকে জোর করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ভার্মা এবং ভাড়াটে গুন্ডারা তাঁকে মারধর ও নির্যাতন করে। ৬৪ লক্ষ টাকা দিতে না পারলে অভিযুক্তরা চলচ্চিত্র নির্মাতাকে মাদক মামলায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছিলেন বলেও জানানো হয়। এফআইআরে বলা হয়েছে, ‘এই বেআইনিভাবে আটকে রাখার সময়, অভিযুক্তরা তাঁর দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে, জোর করে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য এবং পাসওয়ার্ড বের করে এবং সেগুলির অপব্যবহারের হুমকি দেয়। শ্যাম সুন্দর দে-কে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখানে তিনি থাকছিলেন এবং তারপরে ১ জুন একটি অজ্ঞাত ভিলায় চলে যাওয়া হয় তাঁকে নিয়ে।’ মালাবিকার অভিযোগ, প্রচণ্ড মানসিক চাপের মুখে ৩১ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে অভিযুক্তদের প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা জোগাড় করে দিতে বাধ্য হন তাঁর স্বামী। তিনি ৩ জুন গোয়ার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে একটি ইমেল লিখেছিলেন যারা ৪ জুন তার স্বামীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।