হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসন থেকে দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুসারে ৬৯,৩৩৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। নিজের জয় নিয়ে নিশ্চিত অভিনেত্রী, তা স্পষ্ট তাঁর এক্সে (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত ছিল) করা পোস্ট থেকে। যেখানে তিনি শেয়ার করে নিয়েছেন, কীভাবে তার দিন শুরু হয়েছিল
মায়ের আশীর্বাদ
এক্স-এ নিয়ে গিয়ে নিজের ও মায়ের বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি তাঁর মায়ের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিচ্ছেন এবং তাঁর মা তাঁকে দই ও চিনি খাওয়াচ্ছেন। হাতের ইমোটিকন দিয়ে ছবিগুলোর সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘মা হলেন ভগবানের রূপ, আজ আমার মা আমাকে দই ও চিনি খাওয়াচ্ছেন।’
জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কঙ্গনার জন্য ৪ জুন নিসন্দেবে বড় দিন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে কঙ্গনা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষের সেবা করবেন। তিনি বলেন, 'মেয়েদের অপমানকে ভালোভাবে নেয়নি মান্ডি। মুম্বই যাওয়ার কথা যদি বলেন, তাহলে বলব এটা (হিমাচল প্রদেশ) আমার 'জন্মভূমি' এবং আমি এখানকার মানুষের সেবা করে যাব। তাই কোথাও যাচ্ছি না। হয়তো অন্য কাউকে ব্যাগ গুছিয়ে চলে যেতে হবে। আমি কোথাও যাচ্ছি না'।
এই মুহূর্তে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসন থেকে এগিয়ে রয়েছেন কঙ্গনাই। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও মান্ডি লোকসভা আসনটি থিল ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে। এখান থেকে রাম স্বরূপ শর্মা যথাক্রমে ৪৯.৯৭% এবং ৬৮.৭৫% ভোট নিয়ে জিতেছিলেন।
কঙ্গনা বহু বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সোচ্চার সমর্থক। তবে এই বছরের শুরুতে যখন তার প্রার্থি তালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল তখন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
‘আমার প্রিয় ভারত এবং ভারতীয় জনতার নিজের দল, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সর্বদা আমার নিঃশর্ত সমর্থন পেয়েছে। আজ বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব আমাকে আমার জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের মান্ডি (নির্বাচনী এলাকা) থেকে তাদের লোকসভা প্রার্থী হিসাবে আমার নাম ঘোষণা করেছে। লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত আমি মেনে চলি। আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিতে পেরে আমি সম্মানিত ও উচ্ছ্বসিত বোধ করছি। আমি একজন যোগ্য কার্যকর্তা এবং নির্ভরযোগ্য জনসেবক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। ধন্যবাদ’, ২৪ মার্চ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখেন কঙ্গনা।
কঙ্গনার দাদা সরজু সিং রানাওয়াত ছিলেন বিধায়ক। তার মা আশা রানাওয়াচত মান্ডি থেকে স্কুল শিক্ষিকা হিসাবে অবসর নিয়েছেন এবং তার বাবা অমরদীপ রানাওয়াত পেশায় একজন ব্যবসায়ী।