ছাপ্পা ভোট করানোয় তৃণমূলের এক এজেন্টকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আর তৃণমূল এজেন্টের গ্রেফতারিতে দলেরই নেতাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের দেগঙ্গা বিধানসভা এলাকার কদম্বগাছি সরদার পাড়া এলাকায়। পুলিশ গিয়ে কোনও ক্রমে দলীয় কর্মীদের হাত থেকে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করে। ওই বুথে সোমবার পুনর্নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন - ছাপ্পার অভিযোগ প্রতিকুরের, ডায়মন্ড হারবার নিয়ে শুভেন্দুর দাবি আরও ভয়ানক
পড়তে থাকুন - মুসলিমরা তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিলেই TMCর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মৃত্যু হয়: অমিত মালব্য
অভিযোগ শনিবার শেষ দফায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথ কদম্বগাছি সরদার পাড়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। ছাপ্পা ভোট পরিচালনা করেছেন ওই বুথের তৃণমূল এজেন্ট জাকির হোসেন। ভোট শেষ হওয়ার পর ওই তৃণমূল এজেন্টের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেগঙ্গা বিধানসভার অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে কোর্টে চালান করলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
দলীয় এজেন্টের গ্রেফতারির খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে কদম্বগাছি সরদার পাড়ায় যান তৃণমূল নেতারা। ছিলেন তৃণমূলে দেগঙ্গা ব্লক সভাপতি। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন তৃণমূল এজেন্টকে গ্রেফতার করা হল তার জবাব দাবি করেন দলীয় নেতাদের কাছে। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। জাকির হোসেনের জামিন না হলে তাঁদেরও ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেন স্থানীয় মহিলারা। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তারা কোনও ক্রমে তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন - ৩০ দূর অস্ত, বাংলায় কত আসন পেতে পারে বিজেপি, ভোট শেষ হতেই ফাঁস করলেন খোদ সুকান্ত
এই ঘটনায় সোমবার ওই বুথে পুনর্নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে দলীয় নেতার গ্রেফতারিতে নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের।