সদ্য ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়ের পুত্র সামিত দ্রাবিড়। বাবা রাহুল দীর্ঘ পরিশ্রম করেছেন ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর। বহুদিন ধরেই দেখা যেত ছেলে যখন ক্রিকেট খেলতেন তখন দ্রাবিড় তাঁর খেলা দেখতে মাঠের ধারে উপস্থিত হতেন। সেই দ্রাবিড়ের স্বপ্নই যেন পূরণ হয়েছে ছেলে অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়ায়।
অনেকের অবশ্য এক্ষেত্রে ধারণা থাকে বাবা বড় ক্রিকেটার হলে ছেলেরা হয়ত বাড়তি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন।সেটা যে সমিতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, সেটাই জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে বলছেন দ্রাবিড়পুত্র। নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যথেষ্টই পরিশ্রম করে তাঁকে দলে সুযোগ পেতে হয়েছে। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ পান সমিত দ্রাবিড়।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- লোপ্পা ক্যাচ মিস শাকিলের!অবাক অধিনায়ক মাসুদ! মুখে হাত দিয়ে হেসে ফেললেন আম্পায়ারও…
সমিত দ্রাবিড় এই সিরিজে অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ পাওয়ার পর স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘আমি খুব খুশি দলে সুযোগ পেয়ে। আমি এই মূহূর্তটার জন্য অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি, তাই এর আনন্দটা খুবই আলাদা। সকলকে ধন্যবাদ আমায় শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।’।
আরও পড়ুন-IPL 2025-ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার রুলের বিরোধিতায় রোহিতের পাশে জন্টি! চাইলেন বেশি রিটেনশন কার্ড…
জুনিয়র ক্রিকেটে বরাবরই টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে থাকেন রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলে সমিত। বাবার মতোই ঠান্ডা মাথায় অনেকটা একইরকম স্ট্যান্স নেন সমিত। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের নজরে রয়েছেন তিনি। স্কুল এবং রাজ্য স্তরের খেলায় ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরমেন্স করেছেন দ্রাবিড়পুত্র। সেই সুবাদেই তাঁর ঠাই হয়েছে এই সিরিজে। অনূর্ধ্ব ১৪, অনূর্ধ্ব ১৬ প্রতিযোগিতাতেও শতরান করে নজর কেড়েছিলেন সমিত। ২০১৯ সালে স্কুল ক্রিকেটে শতরান করে নজরে এসেছিলেন এই তারকা পুত্র।
আরও পড়ুন-পিছিয়ে ৩৫৪৪ রানে! সচিনের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন? ECB-র প্রশ্নের মুখে কি উত্তর দিলেন রুট?
বাবা তারকা হওয়ায় তাঁর এক অদৃশ্য চাপ এসে পড়ে ছেলের ওপরেও। রাহুল দ্রাবিড় তাই সব সময়ই চেয়েছেন ছেলেকে নিজের মতো করেই খেলতে দিতে, কোনওরকম বাড়তি প্রত্যাশার চাপ যাতে তাঁর ওপর না পড়ে। ছেলের এই উত্থানের সময় নিজেও ভারতীয় দলের প্রশিক্ষকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে সমিতকেই ক্রিকেটের বিভিন্ন টেকনিক্যাল দিলগুলোও হাতে ধরে অবসর সময় দেখিয়ে দিচ্ছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।