আয়ুষ মাত্রে ও বৈভব সূর্যবংশী যে ভিতটা গড়ে দিয়ে যান ভারতের জন্য, সেই ভিতে বিরাট ইমারত গড়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ভারতের যুব দলের ক্যাপ্টেন মহম্মদ আমন। জাপানের বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে দুর্দান্ত শতরান করে ভারতকে বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিনি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৬ রান করে আউট হন আমন। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। আমন ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ১০৬ বলে। সাহায্য নেন ৫টি বাউন্ডারির। শেষমেশ ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৮ বলে ১২২ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ভারতের ক্যাপ্টেন।
হতে পারে জাপান তুলনায় দুর্বল দল। তবে আনকোরা দলের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারর সেট হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসছিলেন। কেপি কার্তিকেয়াকে সঙ্গে নিয়ে আমন ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেন। কোনও ঝুঁকি না নিয়েই তিনি দলকে বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। জাপানের বিরুদ্ধে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৯ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মহম্মদ আমন যুব ক্রিকেটে অত্যন্ত ধারাবাহিক। তিনি এশিয়া কাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে ৩টি ওয়ান ডে ম্যাচের ২টি ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন। ২টি ইনিংসেই তিনি হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
পুদুচেরির প্রথম ম্যাচে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন আমন। পরে অজিদের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭২ বলে ৭১ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক। সুতরাং, শেষ চারটি যুব ওয়ান ডে ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আমন ২টি হাফ-সেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি করেন।
সোমবার জাপানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ম্যাচে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ওপেনার আয়ুষ মাত্রে। শেষেমশ ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। অপর ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী ২৩ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কা।
২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ বলে ৩৫ রান করেন আন্দ্রে সিদ্ধার্থ। কেপি কার্তিকেয়া ৪৯ বলে ৫৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। হার্দিক রাজ ১২ বলে ২৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।