রবিচন্দ্রন অশ্বিন নাকি অস্ট্রেলিয়া সফরের আগেই টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছিলেন যে, যদি মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া না হল, তাহলে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগেই তাঁর অবসর নিতে অসুবিধা নেই। পার্থ টেস্টের পরে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকেও তিনি জানিয়ে দেন, সেখানেই দাঁড়ি টানতে চান আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে।
তবে রোহিত শর্মাই অশ্বিনকে অ্যাডিলেড টেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করে যেতে বলেন। অ্যাডিলেডে অশ্বিনকে মাঠে নামায় ভারতীয় দল। যদিও ব্রিসবেন টেস্টে অশ্বিনের বদলে ভারতের প্রথম একাদশে ঢোকেন রবীন্দ্র জাদেজা। মেলবোর্ন ও সিডনির শেষ ২টি টেস্টে পরিস্থিতি অনুকূল হলে ভারত একাধিক স্পিনার মাঠে নামাতে পারে। তবে তাতেও অশ্বিনের জায়গা পাওয়া নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা ছিল না। সুতরাং, অকারণ অপেক্ষা না করে অশ্বিন ব্রিসবেন টেস্টের পরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দেন।
সুতরাং, অশ্বিনকে মাঠে নামানো হলে তিনি খেলা চালিয়ে যেতেন, এই ইঙ্গিত বুঝে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না করওই। প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে বিশেষ এই দিকটিকেই ইঙ্গিত করছেন। তাঁর দাবি, টিম ম্যানেজমেন্ট যখন অশ্বিনকে বিদায় নিতে দিয়েছেন, তখন সিনিয়র তারকাদের নিশ্চিন্তে বসে থাকার উপায় নেই। কেননা এটা প্রকারান্তরে সিনিয়রদের সামনে স্পষ্ট একটা বার্তা যে, পারফর্ম না করলে সরতে হবে। যদিও অশ্বিনের ক্ষেত্রে এমনটা কোনওভাবেই বলা যাবে না যে, তিনি পারফর্ম করতে পারছিলেন না।
অশ্বিন অবসর ঘোষণার পরেই হর্ষ ইঙ্গিতবহ টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘সুযোগ দেওয়া হলে ও খেলা চালিয়ে যেত। অশ্বিনকে অবসর নিতে দিয়ে জাতীয় নির্বাচকরা বাকিদের সামনে একটা যোগ্যতামান নির্ধারণ করে দিল। সামনের দিনগুলো চিত্তাকর্ষক হতে চলেছে।’
উল্লেখ্য, বিরাট কোহলি চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে একটি সেঞ্চুরি করলেও তাঁর টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাছাড়া কোহলির খেলায় ধারাবাহিকতার অভাবও ধরা পড়ছে। রোহিত শর্মা মোটেও পরিচিত ছন্দে নেই। রোহিতকে চলতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে হচ্ছে লোকেশ রাহুলের জন্য।
দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের জন্য রোহিত সিরিজের শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়া সফরে ছিলেন না। ফলে তিনি পার্থের প্রথম টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। রোহিতের অনুপস্থিতিতে লোকেশ রাহুল ভারতের হয়ে ওপেন করতে নামেন। রাহুল পার্থ টেস্টে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে ব্যাট হাতে নজর কাড়েন। ফলে তাঁকে ওপেন থেকে সরানোর সাহস পাননি রোহিত। স্বাভাবিকভাবেই চেনা ছন্দে না থাকায় চাপ বাড়ছে টিম ইন্ডিয়ার দুই সিনিয়র তারকার উপর।