আরজি কর-এর অন্দরে তরুণী চিকিৎসকের হত্যা ও নৃশংস ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে আরজি কর ক্ষোভে সরগরম হতেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। চিকিৎসক হত্যায় এখনও পর্যন্ত এই একজনই ধৃত। এরপর মামলা সিবিআইয়ের হাতে আসতেই, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা খতিয়ে দেখছে, ঘটনার দিনের আগে পর্যন্ত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি কী ছিল।
সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘আনন্দবাজার অনলাইন’এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরজি করে সেই দিন রাতের ঘটনার আগে, সঞ্জয় রায় ছিলেন কলকাতার বাইরে। জানা যাচ্ছে, কোনও কাজে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর কলকাতায় ফিরে আসার পরই এই ঘটনা। তবে ঘটনার দিনের আগে, বা ঘটনার খানিক আগে কোথায় ছিলেন সঞ্জয়? কার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি কলকাতায় ফিরে আসার পর, এই সমস্ত কিছুর খোঁজ রাখছে সিবিআই। হাসপাতালের একাধিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ ইতিমধ্যেই করেছে সিবিআই। এর আগে, কলকাতা পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করতেই, ধৃত সম্পর্কে একাধিক খবর রিপোর্টে আসে। সেই সময় কলকাতা পুলিশ সূত্রের জানা গিয়েছিল, রাত ১১ টা নাগাদ ধৃতকে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা নাগাদ হাসপাতালে দেখা যায় ঢুকতে। খানিক বাদে তিনি হাসপাতাল থেকে বের হন। সেখানে খাবার খান, মদ্যপান করেন, বলে খবর ছিল। এরপরই ৪ টে নাগাদ তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হলের দিকে যেতে দেখা যায়। এই গতিবিধি ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। সেখান থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা পর তিনি বেরিয়ে আসেন। এরপর দিন শুক্রবার সেমিনার হল-এ চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়।
ইতিমধ্যেই সিবিআই মৃতার সহকর্মীদের বয়ান রেকর্ড করেছে। হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসককে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। বহু চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড করা হয়। কর্তৃপক্ষেরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
এবার, সেই রাতে সঞ্জয় রায় আর জি কর হাসপাতালে কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কার কার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়, সেই তথ্যের দিকে নজর রাখছে সিবিআই। টাইমলাইন ধরে সিবিআই মেলাচ্ছে ক'টা নাগাদ কী হয়েছে। প্রথমবার যখন হাসপাতালে সঞ্জয় ঢোকেন তখনই বা কাদের সঙ্গে তার দেখা হয়, দ্বিতীয়বার ঢোকার পরই বা কাদের সঙ্গে সঞ্জয়ের দেখা হয়, বা কী করছিলেন সঞ্জয়? এই বিষয়গুলির তথ্যের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এছাড়াও ঘটনার পরই বা কাদের সঙ্গে সঞ্জয়ের দেখা হয়? কলকাতার বাইরে কী প্রয়োজনে তিনি গিয়েছিলেন? সেই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে ধৃতকেও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সব তরফের তথ্য মিলিয়ে দেখছেন সিবিআইয়ের দাপুটে গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে সদ্য এই মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। দিল্লি থেকে এসেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।