বিস্কুট ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা ব্রিটানিয়ার তারাতলা কারখানা বন্ধ হওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। ব্রিটানিয়ার কারখানা বন্ধের ঘটনা রাজ্যের শিল্পের দুর্দশার চিত্রটা আরও একবার তুলে ধরল বলে দাবি করছে বিরোধীরা। এজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পনীতিকে দায়ী করেছে তারা। এরই মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন ব্রিটানিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরুণ বেরির সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটানিয়া সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ছে না। কিন্তু কেন বন্ধ হল ব্রিটানিয়ার তারাতলা কারখানা।
আরও পড়ুন - জঙ্গি হাবিবুল্লারহের সঙ্গে যোগ! সন্দেহে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার যুবক
পড়তে থাকুন - খড়গপুরে প্রকাশ্যে চলল গুলি, পার্টি অফিসের পাশেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী
সংস্থা ইতিমধ্যে শেয়ার বাজারকে চিঠি লিখে তাদের কলকাতার কারখানা বন্ধের কথা জানিয়েছে ব্রিটানিয়া। সেখানে জানানো হয়েছে, সংস্থার ১৫০ জন স্থায়ী কর্মীকে সসম্মানে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হয়েছে।
তবে শুধু কলকাতা নয়, সম্প্রতি মুম্বই ও চেন্নাইয়ের কারখানাও বন্ধ করেছে ব্রিটানিয়া। এর মধ্যে মুম্বইয়ের কারখানাটি ছিল দেশে তাদের সব থেকে পুরনো কারখানা। যদিও সংস্থার আর্থিক অবস্থা খুবই ভালো। তার পরেও কেন একের পর এক কারখানা বন্ধ করছে ব্রিটানিয়া?
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্রিটানিয়ার একটি সূত্র উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ব্রিটানিয়ার পুরনো কারখানাগুলি শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। তাছাড়া সেগুলিতে সব যন্ত্রপাতি পুরনো প্রযুক্তির। সেই কারখানাগুলি বন্ধ করে গোটা দেশে আধুনিক প্রযুক্তির কারখানা খুলতে চলেছে ব্রিটানিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ITCসহ ব্রিটানিয়ার একাধিক প্রতিদ্বন্দী সংস্থা প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে ক্রমশ বাজার বাড়াচ্ছে। সেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ব্রিটানিয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
আরও পড়ুন - ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বধূকে দিঘা বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব তৃণমূল নেতার
২০১৮ সালে ৩০ বছরের জন্য তারাতলার কারখানার জমির লিজের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ব্রিটানিয়া। এর পর সেখানে ৩১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করা হয় সংস্থার তরফে। সেই কারখানা বন্ধ হওয়ার পরে বন্দরের ওই ১১ একর জমির ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে নতুন আধুনিক কারখানা কোথায় তৈরি করবে সংস্থা?