একটাই রিপোর্ট কার্ড। সেখানেই থাকবে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মূল্যায়নের মার্কশিট। অর্থাৎ কোনও ছাত্র বা ছাত্রী সে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছে সেটা একটি রিপোর্ট কার্ডেই দেখা যাবে। এর মাধ্য়মে সেই ছাত্র ছাত্রীর কতটা উন্নতি বা অবনতি হয়েছে, তার অগ্রগতির ধারাবাহিকতা কতটা রয়েছে সেটা ভালোভাবে বোঝা যাবে। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। হলিস্টিক প্রোগ্রেস রিপোর্ট কার্ড। একটা কার্ডেই থাকবে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সে কত নম্বর পেয়েছিল সেটা উল্লেখ করা থাকবে।
তবে এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে বেশ উপকার হতে পারে ছাত্রছাত্রীদের। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই রিপোর্ট কার্ড চালুর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো প্রত্যেকটি স্কুলকে বলা হয়েছে যাতে এই শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রত্য়েক পড়ুয়া কত নম্বর পাচ্ছে সেটা নির্দিষ্ট রিপোর্ট কার্ডে যেন নথিভুক্ত করা হয়।
এই রিপোর্ট কার্ডকে ঘিরে অভিভাবকদের মধ্য়েও উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এই রিপোর্ট কার্ডের একটা সবথেকে ভালো দিক হল কোন ক্লাসে কোনও ছাত্রছাত্রী কতটা উন্নতি বা কতটা অবনতি করল সেটা বোঝা যাবে। অর্থাৎ বর্তমানে রিপোর্ট কার্ডে একটি ক্লাসে কোনও পড়ুয়া কতটা নম্বর পেল সেটাই উল্লেখ করা থাকে। অনেকে এটা যত্ন করে রেখে দেয়। অনেকের কাছ থেকে আবার হারিয়েও যায়।
এবার একটাই রিপোর্ট কার্ড। যেটা খুললেই বোঝা যাবে আগের ক্লাসগুলিতে সে কত নম্বর পেয়েছিল। কোনও একটি বিষয়ে তার অগ্রগতি অথবা অবনতি কতটা হল সেটাও এই রিপোর্ট কার্ড দেখে বোঝা যাবে।
এনিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসার। এর মধ্য দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক বিষয়ে উঠে আসবে। এর ভিত্তিতে সামগ্রিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝার সুবিধা হবে। সেভাবে তাদের প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়া যাবে।
সেই সঙ্গেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এখানে প্রশ্ন হচ্ছে বিদ্যালয় গুলিতে যে পরিকাঠামো রয়েছে সেই পরিকাঠামোর মধ্যে এগুলিকে বাস্তবায়ন করা অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার। সার্বিকভাবে উন্নত পরিকাঠামো, যথেষ্ট সংখ্যায় শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী না থাকলে এই ভালো উদ্দেশ্য কোনোভাবেই সার্বিকভাবে সফল রূপায়ণ সম্ভব হবে না। সারা রাজ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলির বেহাল দশা সর্বজনবিদিত। কোথাও একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা দিয়ে বিদ্যালয়ে চলে। হাইস্কুল গুলিতে বহু পদ শূন্য রয়েছে। তাই রিপোর্ট কার্ডের যে আসল উদ্দেশ্য তার সঠিক রূপায়ণ করতে গেলে সরকার তথা শিক্ষা দপ্তরকে এই দিকগুলির প্রতি সর্বাগ্রে দৃষ্টি দিতে হবে।