মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনে যে হিংসার ছবি ধরা পড়েছে তার পিছনে আছে বিএসএফের হাত। বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সবকিছুর পিছনে রয়েছে। এটা প্রি–প্ল্যান্ড কমিউনাল রায়ট। তাই প্রধানমন্ত্রীকে কন্ট্রোল করতে বলা হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। গতকাল ইমাম–মোয়াজ্জেমদের সভা থেকে এই ভাষাতেই তোপ দেগেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ, বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তুমুল আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিকে অমিত শাহ কোনওদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। হামাগুড়িবাবু নাম দিয়ে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই নিশানা করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। অমিত শাহকে আক্রমণের প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ বলেন, ‘পার্টিতে মমতাকে কেউ মানে না। পার্টিতে চুলোচুলি হচ্ছে। তিনি কাকে আঙুল তুলছেন? কোথায় নেতাজি আর কোথায় পিঁয়াজি? অমিত শাহকে সাধারণ মানুষ ক্ষমতা দিয়েছে। মমতা বলার কে? খুব বেশি হলে দুটো সাংসদ কমবেশি করতে পারেন। যে লোকটা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আর গুজরাট থেকে অসম পর্যন্ত ঠাণ্ডা করে দিয়েছে তাঁকে নিয়ে এসব বলছেন। নিজের দিকে তাকান। প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি করছেন সেটা দেখার জন্য সারা দেশের মানুষ আছেন। আপনাকে বাংলার মানুষ দেখছে।’
আরও পড়ুন: এবার বালুরঘাটে আত্মঘাতী শিক্ষক, কুলতলির ছায়া উত্তরের জেলায়, কেন এমন চরম পদক্ষেপ?
অন্যদিকে যোগী আদিত্যনাথকে চরম ভোগী বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শাসনকালে কতগুলি এনকাউন্টার হয়েছে তার হিসাব দেননি বলে অভিযোগ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কুম্ভমেলায় কত মানুষ মারা গিয়েছে তার হিসাবও দেয়নি বলে তোপ দাগেন তিনি। এবার এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘এই যে মিথ্যা কথা এটাই একদিন ওনার সর্বনাশের কারণ হবে। উনি অমৃত কুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলেছেন। উনি হিন্দু ধর্মকে গন্দা ধর্ম বলেছেন। মানুষ এগুলি ভুলে যাবেন? যোগী সন্ন্যাসী এবং সর্বত্যাগী। তার পায়ের যোগ্য উনি হতে পারবেন না। উনি যত পাপ করেছেন আর যোগী জীবনে যা করেছেন, এই কথা বলার এক কণা যোগ্যতা ওনার নেই। দ্বিগুণের বেশি জনসংখ্যা উত্তরপ্রদেশে। সেখানে উনি যা করে দিয়েছেন সেই যোগ্যতা আপনার নেই। ভগবান আপনাকে সুমতি দিক। আপনার কথাবার্তা ঠিক হোক।’