‘পশ্চিমবঙ্গে কেন এভাবে দুর্গামূর্তি ভাঙা হবে? মা দুর্গার কী অপরাধ?'

সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত হাওড়ার শ্যামপুরে গিয়ে পুলিশকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সকালে শ্যামপুরে হিংসা কবলিত এলাকায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশমন্ত্রী, ডিজিপি সবাইকে বার্তা দিয়েছি যে আপনাদের গা ছাড়া মনোভাবের জন্য শ্যামপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। এখানে ডেপুটেশন দেওয়ার নাম করে চারিদিক থেকে লোক জড়ো করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার, নুরপুর থেকে নৌকোয় করে লোক আনা হয়েছে। বাগনান, উলবেড়িয়া থেকে লোক জড়ো করা হয়েছে। আমতা থেকে লোক আনা হয়েছে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, মেছেদা থেকে লোক আনা হয়েছে।’শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘পুলিশকে জানিয়েছিল ওরা যে স্মারকলিপি দিতে আসছে। সেখানে সেখানে ২ – ৩ হাজার উন্মত্ত জনতা এলো কোথা থেকে? আজকে যে পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেদিন তো ছিল না। আপনারা ৩ ঘণ্টা ছেড়ে দিয়েছিলেন গুন্ডাদের হাতে। তারা থানাও আক্রমণ করেছে। বাজারে দোকান পাট সব ভেঙেছে নিরীহ লোকদের। এমনকী স্কুলে আক্রমণ হয়েছে।’পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের দাবি তারা ৭৪ জনকে ধরেছে। কিন্তু কখন ধরেছে? মা দুর্গাকে ভেঙে তছনছ করে দেওয়ার পরে। এটা কি বাংলাদেশ বানাবেন? পশ্চিমবঙ্গে কেন এভাবে দুর্গামূর্তি ভাঙা হবে? মা দুর্গার কী অপরাধ?’শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমাদের কোনও ধর্ম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। আমাদের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তাদের দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা।’গত ১৩ অক্টোবর রাতে হাওড়ার শ্যামপুরে দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে হামলা চালায় একটি সম্প্রদায়ের সদস্যরা। সেখানে মণ্ডপ ও দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।