গ্রামাঞ্চলে অপ্রতুল স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য এবার চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় তুললেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে এক সভায় তিনি মন্তব্য করেন, গ্রামে বড় বড় হাসপাতাল হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক নেই। চিকিৎসকদের বলব, গ্রামের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দিকে একটু নজর দিন। গ্রামের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে নিয়ে রচনার স্বীরাকোক্তিতে উৎফুল্ল হলেও, যে ভাবে তিনি চিকিৎকদের দায়ী করেছেন তাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
এদিন রচনা বলেন, ‘বড় বড় হাসপাতালে রেডি করেছি, কিন্তু ডাক্তার নেই। চিকিৎসকরা শহরকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের বলব জেলার হাসপাতালগুলির দিকে একটু নজর দিন। মানুষকে তো সেই কলকাতাতেই ছুটতে হচ্ছে আর যেতে যেতে রাস্তায় মারা যাচ্ছে।’
রচনার মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘ওনার মনে আছে তো উনি কোন দলের সাংসদ? আমরা তো কবে থেকে বলে আসছি যে রাজ্যে ঠিকাদারদের থেকে কাটমানি তোলার জন্য হাসপাতালের নামে বড় বড় ভবন বানানো হয়েছে। তাতে না আছে পরিকাঠামো না আছে চিকিৎসক। সেগুলোকেই গালভরা নাম দিয়ে হাসপাতাল বলে চালানোর চেষ্টা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গ্রামের মানুষ জানেন আসল পরিস্থিতিটা কী। সামান্য চিকিৎসা পরিষেবা পেতে কলকাতায় ছুটতে হয় তাদের। গোটা উত্তরবঙ্গে কোনও সরকারি হাসপাতালে একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই।’
চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘কোন চিকিৎসক কোন হাসপাতালে যাবেন সেটা কি তিনি নিজে ঠিক করেন? স্বাস্থ্যদফতর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তিনি চিকিৎসক নিয়োগ না করলে হাসপাতালে চিকিৎসক থাকবেন কী করে? তার পর কোনও চিকিৎসক তৃণমূলের বশ্যতা স্বীকার করলেই তাঁকে কলকাতা বা লাগোয়া কোনও হাসপাতালে বদলি পেয়ে যান। এর ফলে কলকাতা ও আসেপাশের এলাকায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব নেই। কিন্তু ভুগতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। রচনাদেবী কয়েক মাস হল রাজনীতিতে এসেছেন। এসব বোধ হয় তাঁর জানা নেই।’