শহরের উড়ালপুল ও সেতুগুলোর নিচে থাকা অবৈধ দোকান ও অস্থায়ী বসতি নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তেরি কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, উড়ালপুল বা সেতুর নিচে কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। এবার এই সব প্রবণতা রুখতে পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। উড়ালপুলগুলির নিচের অংশ পরিষ্কার করে চারপাশে ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ দখল করতে না পারে।
আরও পড়ুন: সেতুর নিচে আগুনের ফলে ক্ষতি হচ্ছে কংক্রিটের পরিকাঠামোর, কড়া বার্তা ফিরহাদের
একজন সরকারি আধিকারিক জানান, ফ্লাইওভার এবং সেতুর নিচের খোলা জায়গাগুলি দখলমুক্ত করা হবে এবং স্থায়ীভাবে ঘিরে ফেলা হবে। বর্তমানে কলকাতার বেশিরভাগ উড়ালপুলের নিচে রয়েছে অস্থায়ী ঘর ও দোকান। অনেক বাসিন্দা সেতুর পিলারে কাপড় বা জিনিস ঝুলিয়ে রাখেন এবং সেতুর নিচে আগুনে রান্না করেন। এর ফলে ওই কাঠামোর নিচে পর্যাপ্ত নজরদারি বা পরিদর্শন করাই সম্ভব হয় না।
গত বছরের ডিসেম্বরে নিউ আলিপুরে দুর্গাপুর সেতুর নিচে আগুন লাগার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন থেকেই রাজ্য সরকার ফ্লাইওভার ও সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। উল্লেখ্য, কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফ্লাইওভার এবং সেতুর নিচে কাউকে আর বসবাস করতে দেওয়া হবে না।’ সরকারের তিনটি বিভাগ শহরের বিভিন্ন উড়ালপুল ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে পুর ও নগরন্নোয়ন বিভাগের অধীনে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ), পরিবহন বিভাগের অধীনে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার (এইচআরবিসি) এবং পূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি)।
ফিরহাদ হাকিম জানান, রান্নার আগুনের তাপে লোহার রড ফুলে ওঠে, ফলে ফ্লাইওভারের গঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। দুর্গাপুর সেতুর নিচের আগুন সেই ঝুঁকির বাস্তব উদাহরণ। তাজ বেঙ্গলের কাছে মা সারদামণি সেতুর নিচে ইতিমধ্যেই ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। চেতলা সেতু, আম্বেদকর সেতু (ইএম বাইপাস), চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভার, বাগমারি সেতু, জীবনানন্দ সেতু এবং ইএম বাইপাস ও ভিআইপি রোড সংযুক্তকারী ব্রিজের নিচের অংশও ঘিরে ফেলার জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র ডাকা হয়েছে।