সিবিআই বাড়িতে হানা দিতেই গোপন নথি সরিয়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আর সেটা ধরে ফেলেন সিবিআই অফিসাররা। তিনি সিঁদুরের কৌটোর মধ্যে মোবাইলের মেমরি কার্ড এবং পুকুরের জলে হার্ডডিস্ক রেখে দিয়েছিলেন তিনি। আর দুটি পেন ড্রাইভও জলে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এভাবেই নিজেকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই লুকিয়ে রেখেছিলেন বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আর এমন সব কথা জানতে পেরে হতবাক সিবিআই অফিসাররা। তাই দ্রুত সেসব খোঁজার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিবিআই কী তথ্য পেয়েছে? সিবিআই সূত্রে খবর, তল্লাশি করতে এসে কয়েকটি নথি হাতে পান অফিসাররা। সেখান থেকেই জানা যায় সমস্ত কিছু পেনড্রাইভ এবং হার্ড ডিস্কে রাখা আছে। কিন্তু সেগুলি খোঁজ করে মিলছিল না। তখন কড়া ধমক দিয়ে বিধায়ককে জিজ্ঞাসা করা হয়, মেমরি কার্ড–হার্ডডিস্ক কোথায় রেখেছেন? জবাবে ইনি জানান, সবই আছে বাড়ির পিছনে পুকুরের জলের তলায়। এই কথা শুনে অবাক হয়ে যান অফিসাররা। তৎক্ষণাৎ দ্রুত ওই পুকুরের জল পাম্প করে সরানো হয় বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? ওই পুকুর থেকে ৬টি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে সেই মেমরি কার্ডে রয়েছে বলে মনে করছেন সিবিআই অফিসাররা। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্যও মিলতে পারে বলে তাঁদের অনুমান। তবে এখনও পর্যন্ত সেখান থেকে কি মিলেছে তা জানানো হয়নি। তবে সিঁদুরের কৌটো থেকে মেমরি কার্ড মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তবে শুধু মোবাইল নয়, বাড়ির পুকুরে দু’টি পেনড্রাইভ এবং একটি হার্ডডিস্কও ছুড়ে ফেলেছিলেন বিধায়ক। সিবিআই তল্লাশিতে নেমে দেখেন, তৃণমূল বিধায়কের ল্যাপটপের হার্ড ডিস্ক উধাও। দু’টি পেন ড্রাইভও তিনি পুকুরে ছুড়ে ফেলেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
আর কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন? সিবিআই জেরায় তিনি জানান, নিজের দু’টি মোবাইল বাড়ির পিছনের পুকুরে ছুড়ে ফেলেছেন। সমস্ত কিছু খুঁজে বের করতে আনা হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ি থেকে দু’বস্তা নথি উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং নবম–দশমের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চাকরি প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। ওই ডায়েরিতেই মিলতে পারে নিয়োগ দুর্নীতির লেনদেনের হিসাব বলে মনে করছেন সিবিআই অফিসাররা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup