আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ঢুকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনা মালদার ইংরেজবাজারের যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের। ইতিমধ্যে অমল মণ্ডল নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছেন নাবালিকার বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - ‘ওদের মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলব’, শুভেন্দুর মন্তব্যে বিতর্ক
পড়তে থাকুন - 'বসিরহাটের হিন্দুদের অবস্থা সিরিয়ার খ্রিস্টানদের মতো'
যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হতদরিদ্র পরিবারটির সদস্য ওই কিশোরীর কিছুদিন আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সোমবার বিকেলে তার বাবা মা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে একা ছিল নাবালিকা। নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, সোমবার মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। হঠাৎ অমল মণ্ডল এসে বলে তোদের আবাসের ঘর করে দেব বাবা - মায়ের আধার কার্ড দে। মেয়ে আধার কার্ড আনতে ঘরে ঢুকলে পিছন পিছন ঢুকে পড়ে সে। এর পর আমার মেয়ের সঙ্গে জবরদস্তুি করে। আমার মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ওকে হাতে নাতে ধরেছে। তখন হাত জোড় করে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করতে থাকে। এরকম কাজ ও এলাকার আরও ১০ - ১২টা মেয়ের সঙ্গে করেছে।
অভিযুক্ত অমল মণ্ডলের মা ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলি সদস্য বলে জানা গিয়েছে। বাবা এলাকার তৃণমূল নেতা। সেই প্রভাব ব্যবহার করেই সে এই সব কাণ্ড করে বেড়ায় বলে দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন - নারায়ণগড় TMC পার্টি অফিসে ‘ধর্ষণ’,মহিলাকে উদ্ধারকারী যুবককেই গ্রেফতার করল পুলিশ
ঘটনার পর সোমবার রাতেই ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি।
এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্যের নারী ও নাবালিকাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী। বরং যৌন হিংসাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে তারা।