এক ইন্টিরিয়ার ডেকরেশন সংস্থার হুমকি ও অত্যাচারের জেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে নবদম্পতি! নিজেদের বাঁচাতে কখনও দিঘা, তো কখনও তারাপীঠে আশ্রয় নিতে হচ্ছে সদ্য বিবাহিত স্বাতীলেখা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কে।
সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুসারে - স্বাতীলেখা ব্যারাকপুর সদর বাজার এলাকার বাসিন্দা। এবং সুমিতের বাড়ি দুর্গাপুরে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। নতুন সংসার পাতবেন - তাই, বাড়ির অন্দরসজ্জাও নতুন করে করানোর পরিকল্পনা করেছিলেন স্বাতীলেখা ও সুমিত। সেই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল বেহালার একটি সংস্থাকে। দাবি অনুসারে, যার কর্ণধার শিবাজি সিং নামে এক ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য শিবাজিকে আগাম ১ লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়েছিলেন স্বাতীলেখা ও সুমিত। কিন্তু, হঠাৎই তাঁদের একজনের মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলত, ২২ ফেব্রুয়ারির বিয়ের অনুষ্ঠান ভেস্তে যায়। এই কারণে শিবাজি সিংকে ওই ১ লক্ষ টাকার চেক ফেরত দিতে বলেন স্বাতীলেখা। আর তারপর থেকেই শুরু হয় বিপত্তি!
অভিযোগ, শিবাজি সিং ওই চেক তো তাঁদের ফেরত দেনইনি, উপরন্তু - শুরু হয় হুমকি, ভয় দেখানো! এমনকী, সুমন ও স্বাতীলেখাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার পর্যন্ত শাসানি দেওয়া হয়! ইতিমধ্যে গত ১৮ এপ্রিল একটি মন্দিরে বিয়ে করেন সুমিত ও স্বাতীলেখা। অন্যদিকে, তাঁদের ভয় দেখানোও চলতে থাকে।
নবদম্পতির দাবি, তাঁদের আগ্নেয়স্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকী, লাল বাতির গাড়িতে চড়ে, সিবিআই অফিসারের পরিচয় ভাঁড়িয়ে পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা স্বাতীলেখা সুমিতকে এসে ভয় দেখিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
নবদম্পতি এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সংবাদমধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুসারে - সুমিত ও স্বাতীলেখা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ জানালেও থানা থেকে তাঁদের উলটে সমঝোতা করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই স্বাতীলেখা ও সুমিত তাতে রাজি হননি। তাঁদের বক্তব্য, যেখানে তাঁরা ওই সংস্থার কাছ থেকে কোনও পরিষেবাই নেননি, তাহলে তাঁদের টাকা দেবেন কেন? আর, কেনই বা তাঁদের এভাবে হুমকি দেওয়া হবে?
অভিযোগ, এই অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে কোনও সাহায্য না পেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে নবদম্পতি। কখনও সুমিত ও স্বাতীলেখা দিঘায় আশ্রয় নিচ্ছেন, তো কখনও তারপীঠে গিয়ে নিজেদের নিরাপদ আড়ালে রাখার চেষ্টা করছেন!