সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক সভা থেকে ২০২৬ ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে বাকি ১৬ লক্ষ মানুষের জন্য পাকা বাড়ির ব্যবস্থা করবেন তিনি। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৬ সালের এপ্রিলে। অর্থাৎ চতুর্থবার ক্ষমতায় এলে বাকি ১৬ লক্ষ মানুষের জন্য পাকা বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার চালাচ্ছিল। এখন আমাদের কোনও ট্যাক্স নেই। একটাই ট্যাক্স, সেটা হল জিএসটি ট্যাক্স। যে টাকাটা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য থেকে তুলে নিয়ে যায়। একটা শাড়ি কিনতে গেলেও GST নেয়। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলোও GST নেয়। সেই ট্যাক্সগুলো নিয়ে চলে যায়। সেই টাকার থেকে আমরা যে টাকা পাই তার থেকে বাংলার বাড়িকে ৩ বছর ধরে ওরা টাকা দেয় না।’
এর পর রাজ্যে আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি তৈরির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আবাসন প্রকল্পে আমরা গরমেন্টের টাকায় ইতিমধ্যে প্রায় ৪৭ লক্ষ বাড়ি তৈরি করেছি। শুধু রাজ্য সরকারের টাকায়। আমরা একটা সার্ভে করেছিলাম। তাতে ২৮ লক্ষ মানুষের নাম এসেছিল যারা অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের সত্যিই গরিব। তাদের মধ্যে ১২ লক্ষ মানুষের কাছে তাদের ৫০ শতাংশ টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে। বাকিটা আগামী ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করলেই তারা পাবে। তাহলে বাকি থাকবে ১৬ লক্ষ মানুষকে আমি বলব, ঘাবড়াবেন না। আমি আগামী দেড় বছরের মধ্যে এই ১৬ লক্ষ বাড়ির ব্যবস্থাও করে দেব। যাতে আপনারা একটা মাথা গোঁজার স্থান পান। এই জেলাতেও ৫৬ হাজার মানুষ বাড়ি পেয়েছে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি অনুসারে সরকারি ঘরের জন্য যারা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন তারা বাকি টাকা পাবেন ভোট ঘোষণার কয়েক মাস আগে। আর চতুর্থবার ক্ষমতায় এলে ১৬ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা দেবে তাঁর সরকার।